মুক্তির পরই বাজিমাত। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ধারণা ছিল প্রথম সপ্তাহে ৭০ থেকে ৯০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে। সেখানে একের পর রেকর্ড গড়ে ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ সিনেমাটি আয় করেছে ৩১৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি। অপ্রত্যাশিতভাবে প্রথম সপ্তাহের আয়ে রেকর্ড গড়া ‘বার্বি’ সিনেমাকে ছাড়িয়ে গেল। ওয়ার্নার ব্রসের হিসেবেই যেন পাল্টে দিয়েছে সিনেমাটি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও সিনেমা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাঁচটি কারণে সিনেমাটির আয় দাঁড়াতে পারে বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
সব বয়সী দর্শকের সিনেমা
সিনেমাটি বিনোদনে ভরপুর। আর এই বিনোদন সব শ্রেণির দর্শকদের জন্য হয়ে উঠেছে উপভোগ্য। সব দর্শকদের ধরতে পারায় সিনেমাটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। ভ্যারাইটিতে লেখা হয়েছে সিনেমাটি, বিশ্বের যেকোনো দেশের কিশোর থেকে বয়স্ক দর্শকদের শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রাখবে। সব জেনারেশনের সিনেমা এটি। দর্শকদের কথায়, অ্যাকশন ও অ্যাডভেঞ্চারের পাশাপাশি সিনেমাটি কমেডি আকারে তুলে ধরায় টান টান উত্তেজনা তৈরি করে। অল্প সময়ে ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ সিনেমাটি যদি বিলিয়ন ডলার আয় করে, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
সিনেমার একটি দৃশ্যে। ছবি: আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টা শুল্ক কার্যকরে নতুন সময়সূচি ঘোষণা ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত নতুন শুল্কহার কার্যকর হওয়ার সময়সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ আগস্ট থেকে তা কার্যকর হবে।
এর আগে ট্রাম্প ১ আগস্টের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলে দিয়েছিলেন, এ সময়ের মধ্যে চুক্তিতে না পৌঁছালে চড়া শুল্ক আরোপ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নির্বাহী আদেশে ৭০টির বেশি দেশের ওপর নতুন পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করেছেন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেগুলো আগামী সাত দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।
যেসব পণ্য ৭ আগস্টের মধ্যে জাহাজে তোলা হবে বা বর্তমানে যাত্রাপথে রয়েছে এবং সেগুলো যদি ৫ অক্টোবরের আগে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে যায়, তবে সেগুলোর ক্ষেত্রে শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।
অবশ্য কানাডার ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক ১ আগস্ট অর্থাৎ আজ থেকেই কার্যকর হচ্ছে।
আরও পড়ুনকোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প৪ ঘণ্টা আগেউত্তর আমেরিকার এই দুই প্রতিবেশী দেশ একে অপরের অন্যতম বড় বাণিজ্য সহযোগী হলেও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তিকর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
কানাডা যেসব পণ্য রপ্তানি করে, তার প্রায় তিন-চতুর্থাংশই যায় যুক্তরাষ্ট্রে। ধাতব পদার্থ ও কাঠের পাশাপাশি কানাডা বিপুল পরিমাণে তেল, গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, খাদ্যপণ্য এবং ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যারা বাণিজ্য চুক্তি করেনি, তাদের জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে: ট্রাম্প১ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, নতুন ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে আর কোনো চুক্তির সুযোগ নেই।