‘আমি উচ্ছ্বসিত, খুশি, আনন্দে আত্মহারা’
Published: 9th, April 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুই ফ্রি-কিক করে রাতটা নিজের করে নিয়েছিলেন আর্সেনালের ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস। যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে রীতিমতো বিরল এক কীর্তি। রিয়ালের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে গোটা ফুটবল বিশ্বে।
ম্যাচ শেষে অ্যামাজন প্রাইমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাইস বলেন, ‘ম্যানেজারের পক্ষ থেকে আমাদের বারবার বলা হচ্ছিল আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে। দলের সবাই বিশ্বাস করেছিল আমরা এই ম্যাচ জিততে পারি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতেই হতো।’
প্রথম ফ্রি-কিক নিয়ে রাইস বলেন, ‘আগে অনেকবার এমন চেষ্টায় বল দেয়ালে লেগেছে কিংবা বাইরে চলে গেছে। শুরুতে আমরা সেটি ক্রস করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেয়াল আর গোলকিপারের অবস্থান দেখে সিদ্ধান্ত নেই সরাসরি মারার।’
রাইস যোগ করেন, একই ম্যাচে যখন দ্বিতীয়টি পেয়ে গেলাম, সেটা আসলে কেমন অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। তবে সেসময় আত্মবিশ্বাসটা একটু বেশিই ছিল। এখনও ঠিক উপলব্ধি করতে পারছি না আমি কী করলাম। আমি উচ্ছ্বসিত, আমি খুশি, আমি আনন্দে আত্মহারা।’
ম্যাচ শেষে জানালেন, এই অসাধারণ মুহূর্তের পেছনে অনুপ্রেরণাদাতা ছিলেন সতীর্থ বুকায়ো সাকা। মাঠে নামার আগে সাকা বলেছিলেন, ‘মুহূর্তটা অনুভব করো’। ওই কথা শুনে সাহস পেয়েছিলাম। দ্বিতীয়টি মারার সময় তাই আত্মবিশ্বাস ছিল বেশি।
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এই জয় আর্সেনালকে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। ফিরতি লেগে যদি তারা এই ব্যবধান ধরে রাখতে পারে, তাহলে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্নটাও বাস্তব রূপ নিতে পারে।
তবে ফিরতি লেগ সামনে রেখে এখনই উচ্ছ্বাসে ভাসতে চাইছেন না রাইস, ‘এই প্রতিযোগিতায় রিয়াল মাদ্রিদের মতো দলকে হারানো, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বড় একটি রাত। তবে আমরা এই প্রতিযোগিতা জিততে চাই। ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলে জিততে হবে।’
আগামী ১৬ এপ্রিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগ। তার আগে প্রিমিয়ার লিগে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচে রাইসকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। সেমিফাইনালে উঠলে আর্সেনালের প্রতিপক্ষ হবে অ্যাস্টন ভিলা অথবা প্যারিস সেন্ট জার্মেইন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর স ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।
টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।
আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ