বাঁশখালীতে ‘বয়সের ভারে’ বন্য হাতির মৃত্যু
Published: 9th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আবারও বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার জলদী রেঞ্জের পাইরাং বিটের আওতাভুক্ত মনুমার ঝিরি এলাকা থেকে ওই হাতির মরদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ। বয়সের ভারে দুর্বল হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা বন বিভাগের।
এ নিয়ে গত ১০ বছরে বাঁশখালীতে ১৬টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার কালীপুর রেঞ্জে ১১টি এবং জলদী রেঞ্জে ৫টি হাতির মৃত্যু হয়। বিদ্যুতের ফাঁদ, খাদ্যে বিষক্রিয়া, অসুস্থতাসহ নানা কারণে এসব হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে বন বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বন বিভাগ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন মনুমার ঝিরি এলাকায় একটি মৃত হাতি দেখেন। তাঁদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর বন বিভাগের লোকজন আজ বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ থেকে ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
বন বিভাগ জানায়, মৃত হাতির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, হাতিটির বয়স বেশি হওয়ার কারণে দুর্বল হয়ে মারা যায়।
জলদী রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ‘পুরুষ হাতিটির বয়স ১০০ বছরের কাছাকাছি। আমরা তথ্য নিয়েছি এবং তদন্ত করছি। পাশাপাশি থানায় জিডিসহ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। পরে হাতিটি নিয়ম অনুসারে পুঁতে ফেলা হবে।’
জলদী বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।