তরুণদের উল্লেখযোগ্য অংশ, বিশেষ করে ১৮-২৯ বছর বয়সীরা তাদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে জানতে যুক্ত হচ্ছে ফেসবুকে। সামাজিক যোগাযোগের এমন প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকরা জীবনের কয়েকটি ধাপে পথচলাকে সমৃদ্ধ করে তোলার সঙ্গে নিজের ও কমিউনিটির জন্য অর্থবহ কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
তরুণদের এমন প্ল্যাটফর্মে অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে বাংলাদেশে একদম নতুন পডকাস্ট সিরিজ #ফেসবুকআইআরএল স্টোরিজ সক্রিয় করেছে ফেসবুক। যার মাধ্যমে তরুণরা কীভাবে ফেসবুক ব্যবহার করছে, তা উপস্থাপন করা হবে।
পডকাস্ট সিরিজের উপস্থাপক হিসেবে রয়েছেন সুপরিচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আমিন হান্নান চৌধুরী। পডকাস্টের মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ছোট থেকে মাঝারি আকারের ব্যবসা (এসএমবি) পরিচালনাকারী ও কমিউনিটিতে প্রভাব বিস্তারকারীরা ফেসবুকে তাদের যাত্রা, উন্নতি ও বিস্তারের গল্প বলবেন, যা বড় পদক্ষেপ নিতে সহায়ক হবে।
পডকাস্টের উপস্থাপক আমিন হান্নান চৌধুরী জানালেন, সব সময়ই কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও দর্শকের মাঝে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেছে ফেসবুক। এবার সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর, এসএমবি ও কমিউনিটিতে প্রভাব বিস্তারকারীদের অগ্রগতি ও সফলতার গল্প তুলে নিয়ে আসছে ফেসবুক। গল্পে তরুণদের অর্থপূর্ণভাবে যুক্ত করতে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পছন্দের সব বিষয় খুঁজে পেতে অনুপ্রাণিত করবে।
এমন অনেকেই ফেসবুকে রয়েছেন, যারা আপনার কাজে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। নিজের পছন্দের কনটেন্ট ও মানুষ খুঁজে পাবেন। যেসব তরুণ কনটেন্ট তৈরিতে টিপস ও কৌশল জানার সঙ্গে কমিউনিটি গড়ে তুলতে বা কোনো ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন, তারা #ফেসবুকআইআরএল স্টোরিজ ফলো করতে পারেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাঝপথে জ্বালানি শেষ স্পিডবোটের, ২৭ যাত্রী নিয়ে ভেসে ছিল আড়াই ঘণ্টা
সন্দ্বীপ চ্যানেলে দুর্ঘটনায় পড়া একটি স্পিডবোট আড়াই ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর কূলে পৌঁছেছে। বোটটিতে ৩ শিশু, ২ নারীসহ মোট ২৭ জন যাত্রী ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বোটটি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা উপকূলে পৌঁছায়। বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিস।
বোটের কয়েকজন যাত্রী প্রথম আলোকে জানান, কুমিরা ঘাটের কাছাকাছি আসতেই বোটটির গতি কমে যায়। এরপর প্রবল ঢেউ ও স্রোতের মুখে বারবার পানিতে আছড়ে পড়তে থাকে। চালক তখন যাত্রীদের জানান, বোটের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বোটের সামনের অংশে পানি ঢুকতে দেখা যায়। আতঙ্কিত যাত্রীরা তখন চিৎকার করতে থাকেন। পরে বোটটি ভাসতে ভাসতে কূলে পৌঁছায়।
বোটে থাকা যাত্রী ফুয়াদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোটের তলা ফেটে পানি ঢুকছে আর আমরা এক কিলোমিটার দূরে উত্তাল সাগরে ভাসছি। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল বেঁচে ফিরতে পারব না, এমনকি সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার কথাও ভাবছিলাম। কিন্তু ভাগ্য ভালো, শেষ পর্যন্ত কূলে পৌঁছাতে পেরেছি।’
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সবাই নিরাপদে কূলে নামতে সক্ষম হন বলে জানান ফুয়াদ।
বিকেলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির কারণ জানতে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
জানতে চাইলে বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বোটের জ্বালানি শেষ হয়নি। তীব্র স্রোতের কারণে বোটটি কুমিরা ঘাট থেকে উত্তরে সরে গিয়ে তীরের কংক্রিট ব্লকে ধাক্কা খায়। এতে বোটের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু যাত্রীরা সবাই নিরাপদে কূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন।’
বৈরী আবহাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বোট চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস বন্ধ ছিল। তবে বিদেশগামী কয়েকজন যাত্রীর অনুরোধে এই একটি ট্রিপ চালু করতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই সময়ে বোট চলাচলের অনুমতি ছিল না। তিনি বলেন, মাঝ সাগরে জ্বালানি শেষ হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তার দায় চালক ও মালিকের। ইতিমধ্যে স্বত্বাধিকারীদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। চালকের লাইসেন্স স্থগিত করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।