কদমপুর গ্রামে প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মেলা বসে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে মেলায়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও মেলা বসেছে। জারার শখ বৈশাখী মেলায় যাওয়া। সে কখনো বৈশাখী মেলায় যায়নি। তাই সে আগে থেকে বায়না ধরলো যে মেলায় যাবে। জারার বাবা নিয়ে যেতে রাজি হলেন। জারা খুশিতে হাততালি দিলো। সে তার রুমে গিয়ে ক্যালেন্ডারে দেখলো; আর মাত্র দুই দিন বাকি। অপেক্ষার পালা যেন জারার শেষই হতে চায় না। যখন অপেক্ষার পালা শেষ হয় জারা যেন আনন্দে আত্মহারা! সে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে তৈরি হয়ে নেয়, মেলায় যাবে বলে। বাবা মেয়েকে দেখে চিনতে পারলেন না। অবাক হয়ে বলেন, এটা কী আমার জারা? জারা বলে, বাবা মজা করোনা তো। আমি তোমারই জারা। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও বাবা। বাবা তৈরি হলেন। জারাদের বাড়ি থেকে কদমপুর গ্রাম বেশি দূরে নয়। হেঁটে যেতে সময় লাগে কুড়ি মিনিটের মতো। তারা হেঁটে রওনা দিলো মেলার উদ্দেশে। যেতে যেতে অনেক মানুষের সাথে দেখা হলো, যারা তাদের মতো মেলায় যাচ্ছে। মেলায় গিয়ে পৌঁছালো সকাল আটটা বিশ মিনিটে। মেলায় প্রবেশ করে জারা আবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো হস্তশিল্পের দিকে। বাবা বলেন, কিছু খেয়ে নেওয়া দরকার। জারা তাতে রাজি হলো। সামনের দিকে এগোতেই তারা খাবারের স্টল দেখতে পেলো। স্টলে গিয়ে পান্তা ইলিশ পেট পুরে খেলো। তারপর মেলায় ঘুরে জারা মাটির পুতুল, হাতপাখা, মিষ্টি, সন্দেশসহ কতো কী নিলো। মেলায় জারার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে নাগরদোলায় চড়ে। সবশেষে বাবার হাত ধরে রাজ্যের আনন্দ নিয়ে বাড়ির পথ ধরে জারা।
n বয়স : ২+৩+৩+৪+৪ বছর; একাদশ শ্রেণি, কালীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, চাঁদপুর
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ খ উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।
টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।
আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ