পূর্বাচলে একটি খালি প্লট থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
Published: 12th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহর থেকে দেলোয়ার হোসেন (৪৬) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে পূর্বাচল উপশহরের ১ নম্বর সেক্টরের একটি খালি প্লট থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত দেলোয়ার হোসেনের চাচাতো ভাই সুমন তালুকদার প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, দেলোয়ার হোসেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার চারিতলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন গাড়িচালক ছিলেন। তাঁকে খুনের কারণ এখনো পরিবারের লোকজন বলতে পারছেন না। নিহত দেলোয়ার হোসেনের লাশ বুঝে নেওয়ার জন্য তাঁরা রূপগঞ্জ থানায় যাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের একটি খালি প্লটে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। দুপুরে আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করি। পরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, লাশের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ কিছুটা বিকৃত হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ৩৬ ঘণ্টা আগে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। কাছাকাছি একটি প্লট থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দেলোয়ার হোসেনের প্যান্টের পকেট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এলে এ বিষয়ে মামলা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।