আব্দুল মজিদের সেঞ্চুরিতে ভর করে শাইন পুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। 

বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মজিদের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে ২৫০ রান করে রূপগঞ্জ। তাড়া করতে নেমে ২২২ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। 

শাইনপুকুরের তিন ব্যাটার ফিফটি করলেও কেউ লম্বা ইনিংস খেলতে না পারায় জয়ের দেখা পায়নি দলটি। মঈনুল ইসলাম তন্ময় ৫০, রাহিম আহমেদ ৫৩ ও শাহরিয়ার সাকিব ৫০ রান করেন।

আরো পড়ুন:

সাকিব-হামজাকে ঘিরে ‘অহেতুক’ বিভাজন রেখা

পিএসএল খেলতে নাহিদের আবেদন, বিসিবি সিদ্ধান্তহীনতায়

২১ রান আসে মিনহাজুল আবেদীনের ব্যাট থেকে। আর কেউ বিশের বেশি রান করতে পারেননি। রূপগঞ্জের হয়ে মাহমুদুল হাসান সর্বোচ্চ ৪ উইকেট ও আওলাদ হোসেন ৩ উইকেট নেন। 

এর আগে মজিদের শতকে ভর ২৫১ রানের লক্ষ্য দেয় রূপগঞ্জ। ১৩৯ বলে ১০২ রান করেন মজিদ। ৬টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো ছিল ইনিংসটি। ৫৬ রান করেন মাহমুদুল হাসান। 

নাসির হোসেন ২৩ ও আল আমিন ২২ রান করেন। শাইন পুকুরের হয়ে ২ উইকেট করে নেন শারিফুল ইসলাম ও আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদ। 

ঢাকা/রিয়াদ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন র পগঞ জ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ