ভারতে সুপারি চুরি করতে গিয়ে খাসিয়াদের মারধরে বাংলাদেশির মৃত্যু
Published: 12th, April 2025 GMT
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে সুপারি চুরি করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি সাত নাগরিক। এর মধ্যে ছয়জন ফিরে এলেও একজন খাসিয়াদের মারধরে নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও আজ শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম কুটি মিয়া (৫০)। তিনি উপজেলার সীমান্তবর্তী পেকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া সীমান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশি সাতজন ভারতে যান। তাঁরা হলেন কুটি মিয়া (৫০), মো. হানিফ মিয়া (৩০), মো. জরিফ উদ্দিন (৪৫), মো. আকবর আলী (৩১), মো. খোকন মিয়া (৩৫), ইসহাক (৫০) ও সোনা মিয়া (৫৫)। তাঁরা সবাই পেকপাড়া (মোকামছড়া) গ্রামের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তিরা ভারতের ভেতরে প্রায় সাত কিলোমিটার ঢুকে নথরাই এলাকার সুপারিবাগানে যান। সেখান থেকে সুপারি চুরির সময় ভারতীয় খাসিয়াদের সঙ্গে তাঁরা ঝগড়ায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে খাসিয়ারা ধাওয়া দিলে ছয়জন ফিরে আসতে পারলেও কুটি মিয়া আটক হন। কুটি মিয়াকে খাসিয়ারা মেরে ফেলেছে বলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা তাঁর পরিবারকে জানান।
সুনামগঞ্জ বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি ভারতের প্রায় সাত কিলোমিটার ভেতরে ঘটেছে। এ কারণে দুই দেশের পুলিশ পর্যায়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক