সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে সুপারি চুরি করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি সাত নাগরিক। এর মধ্যে ছয়জন ফিরে এলেও একজন খাসিয়াদের মারধরে নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও আজ শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির নাম কুটি মিয়া (৫০)। তিনি উপজেলার সীমান্তবর্তী পেকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জাহিদুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় জানান, কুটি মিয়া মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কীভাবে তিনি মারা গেছেন, সেটি লাশ হস্তান্তরের পর বলা যাবে। উপজেলার বাগানবাড়ি-রিংকু সীমান্ত হাট দিয়ে নিহত কুটি মিয়ার লাশ হস্তান্তরের আলোচনা চলছে। তবে কখন লাশ হস্তান্তর হবে, সময় নির্ধারণ হয়নি। ওসি জাহিদুল আরও বলেন, যাঁরা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া সীমান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশি সাতজন ভারতে যান। তাঁরা হলেন কুটি মিয়া (৫০), মো. হানিফ মিয়া (৩০), মো. জরিফ উদ্দিন (৪৫), মো. আকবর আলী (৩১), মো. খোকন মিয়া (৩৫), ইসহাক (৫০) ও সোনা মিয়া (৫৫)। তাঁরা সবাই পেকপাড়া (মোকামছড়া) গ্রামের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তিরা ভারতের ভেতরে প্রায় সাত কিলোমিটার ঢুকে নথরাই এলাকার সুপারিবাগানে যান। সেখান থেকে সুপারি চুরির সময় ভারতীয় খাসিয়াদের সঙ্গে তাঁরা ঝগড়ায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে খাসিয়ারা ধাওয়া দিলে ছয়জন ফিরে আসতে পারলেও কুটি মিয়া আটক হন। কুটি মিয়াকে খাসিয়ারা মেরে ফেলেছে বলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা তাঁর পরিবারকে জানান।

সুনামগঞ্জ বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি ভারতের প্রায় সাত কিলোমিটার ভেতরে ঘটেছে। এ কারণে দুই দেশের পুলিশ পর্যায়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সাবেক অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা

এলইডি বিলবোর্ড স্থাপনকে কেন্দ্র করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ২৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় আসামি করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব খান মোহাম্মদ বিলালসহ ছয়জনকে।

আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মামলার অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন চাকরিচ্যুত সাবেক উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, টিসিএল অপটোইলেকট্রনিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতার হামিদ খান, বেস্টওয়ানের মালিক মোসা. মমতাজ বেগম, বৈশাখী ট্রেডার্সের মালিক মো. গাফ্ফার ইলাহী ও জি-টেকের মালিক সুলতানা দিল আফরোজা।

দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশ করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। বিলবোর্ড স্থাপনের অনুমোদন ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন উপেক্ষা করে নির্বাচিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। এতে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুয়েটের গবেষণা: ইজিবাইকে পূর্ণ যাত্রী বহন করলে যানজট কমবে
  • রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সাবেক অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা