বটমূলে মঞ্চ তৈরি সম্পন্ন, গানে গানে হবে বর্ষবরণ
Published: 13th, April 2025 GMT
মঞ্চ বাঁধা শেষ। রমনার বটমূলে পূর্ব–পশ্চিমে অর্ধবৃত্তাকারে ৭২ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রস্থের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মোট পাঁচটি ধাপ রয়েছে মঞ্চে। সেখানে প্রায় দেড় শ কণ্ঠ ও যন্ত্রশিল্পী উপবেশন করে সুরবাণীতে নতুন বছরকে আবাহন জানাবেন সোমবার পয়লা বৈশাখ প্রভাতে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার এই বটমূলে পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। এবারেও ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে বরণ করা হবে এখান থেকেই। সে জন্য গত তিন মাস থেকে ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবনে চলছে গানের মহড়া। আর ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে রমনার বটমূলে মঞ্চ তৈরির কাজ।
গতকাল শনিবার বিকেলে বটমূলে গিয়ে দেখা গেল লোহার পাইপের কাঠামোর ওপর পাটাতন বিছিয়ে পাঁচ ধাপের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। কাজের তত্ত্বাবধান করছিলেন ছায়ানটের ভবন সমন্বয়ক মামুনুর রশীদ। তিনি জানালেন, ৮ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কাজ চলছে। মঞ্চের সামনে দর্শকদের বসার জায়গাটি বাঁশ-কাঠ দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছে। গতকাল থেকে মঞ্চের দুই পাশে সাউন্ডবক্স, মাইক্রোফোন, শব্দনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন—এসবের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর কিছু রঙের কাজ করা হবে। এবার পুরুষ শিল্পীদের পোশাক হবে মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা। নারীদের মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি। এই মেরুন রঙের সঙ্গেই মানানসই রং করা হবে মঞ্চের। প্রতিবছর মঞ্চের আকৃতি একই রকম থাকে, শুধু শিল্পীদের পোশাকের রঙের সঙ্গে মানিয়ে মঞ্চে রঙের পরিবর্তন করা হয়। গতবারের রং ছিল হালকা সবুজ।
আয়োজকেরা জানালেন, আজ রোববার দুপুরের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ফেলা হবে। বেলা তিনটায় শিল্পীরা মঞ্চে এসে বসবেন। শুরু হবে চূড়ান্ত মহড়া। গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ছায়ানট জানিয়েছে, এবার তাদের অনুষ্ঠানের মূল বার্তা হবে ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। আলো, প্রকৃতি, মানুষ ও দেশপ্রেমের গান দিয়ে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠান।
সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ভৈরবীতে রাগালাপ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। এবার মোট ২৪টি পরিবেশনা হবে। এর মধ্যে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান ও ৩টি পাঠ থাকবে। নববর্ষের কথন পাঠ করবেন নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী। শেষ হবে জাতীয় সংগীত দিয়ে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ছ য় নট বটম ল
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল