আগামীকাল পয়লা বৈশাখ। চারুকলা অনুষদের আয়োজনে প্রতিবছরের মতো এবারও বের হবে শোভাযাত্রা। তবে শোভাযাত্রায় পরা যাবে না কোনো ধরনের মুখোশ এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সঙ্গে নিতে হবে পরিচয়পত্র। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা' শুরু হবে। 

রবিবার(১৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সব জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ বের করা হবে।

বিজ্ঞপ্তির বর্ণনায় বলা হয়, সকাল ৮টা থেকে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শুধু নীলক্ষেত ও পলাশী মোড় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। শোভাযাত্রা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রবেশ পথ ও সংলগ্ন সড়ক বন্ধ থাকবে। শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য রক্ষার্থে আশপাশ দিয়ে শোভাযাত্রায় প্রবেশ করা যাবে না। শেষ প্রান্ত দিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুদিনের ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা অব্যাহত রেখে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য লোক-ঐতিহ্য ও ২৪ এর চেতনাকে ধারণ করে আরো বড় পরিসরে এবং বৈচিত্র্যপূর্ণভাবে এবছর শোভাযাত্রায় সর্বজনীন অংশগ্রহণের আয়োজন করা হয়েছে। শোভাযাত্রায় এ বছর ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশের অতিথিবৃন্দ অংশ নেবেন। এই বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় এ বছর থাকবে ৭টি বড় মোটিফ, ৭টি মাঝারি মোটিফ এবং ৭টি ছোট মোটিফ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, পয়লা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ থেকে প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা চলাকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্থ রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেইট,  চারুকলা অনুষদ সম্মুখস্থ ছবির হাটের গেইট এবং বাংলা একাডেমির সম্মুখস্থ রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেইট বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

শৃঙ্খলা বজায়ের স্বার্থে যানবাহন সম্পর্কিত নির্দেশনা দেওয়া  হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়, ক্যাম্পাসে নববর্ষে সব ধরনের অনুষ্ঠান আগামীকাল বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। 

নববর্ষ উপলক্ষে আজ ১৩ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোন ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধু নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেইট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।

নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

গত শতকের আশির দশকে সামরিক শাসনের অর্গল ভাঙার আহ্বানে পয়লা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হয়েছিল; সেটিই পরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ নেয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় এ কর্মসূচি। তবে বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভযাত্রা’ নামটি এবারের আয়োজনে থাকছে না। এই শোভাযাত্রার নাম থেকে ‘মঙ্গল’ শব্দটি বাদ দিয়ে নতুন নামকরণ হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

ঢাকা/সৌরভ/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নববর ষ র জন য চ র কল র স মন ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কর্মীদের জন্য গার্ডিয়ানের ওয়ার্কশপ

নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সফলভাবে ওয়ার্কশপ আয়োজন করে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। দিনব্যাপী এ ওয়ার্কশপের মূল লক্ষ্য ছিল গ্রাহকদের আধুনিক ও কার্যকরী ইন্স্যুরেন্স সেবা প্রদানের চাহিদা পূরণে কর্মীদের দক্ষতাকে আরো সমৃদ্ধ করা।

ওয়ার্কশপে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল উপায়ে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নানা কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। যেন প্রতিষ্ঠানটি পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক পরিবেশে গ্রাহকদের ধারাবাহিক এবং উচ্চমানের সেবা প্রদানে সক্ষম হয়। ওয়ার্কশপটি সম্প্রতি কক্সবাজারের ওশান প্যারাডাইজ হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয়।

গার্ডিয়ানের হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড ট্রেইনিং ডিপার্টমেন্ট এ প্রশিক্ষণ ওয়ার্কশপের আয়োজন করে। এতে অংশ নেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৬ জন বিটুবি সেলস টিম সদস্য। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন প্রখ্যাত কর্পোরেট প্রশিক্ষক আরশাদ হাসান।

তিনি একটি জার্মান বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে গ্লোবাল বিজনেস ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। মিলার হেইম্যান, ক্রিয়েটিভ সেলিং ও এনএলপি এর মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেশনসহ তাঁর ২০ বছরেরও বেশিএ খাতে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ওয়ার্কশপে তিনি খাতসংশ্লিষ্ট তাত্ত্বিক ধারণাগুলোর বাস্তবমুখী প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন।

ওয়ার্কশপে বিটুবি সেবায় উৎকর্ষ অর্জনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়; যথা: বিক্রয় দক্ষতা, সমঝোতা (নেগোসিয়েশন) দক্ষতা, সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা, টিম ম্যানেজমেন্ট ও নেতৃত্ব বিকাশ। এ ওয়ার্কশপে ধারণার বাস্তব প্রয়োগের মাধমে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। গ্রুপ কার্যক্রম, বাস্তব ক্ষেত্রে কেইস স্টাডি ও অন্তর্ভুক্তিমুলক আলোচনার মাধ্যমে প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নেতৃত্ব, টিমবিল্ডিং ও নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করেন।

ওয়ার্কশপ আয়োজন নিয়ে গার্ডিয়ানের ইপিএমও’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফসিহউল মোস্তফা বলেন, “পেশাদারিত্বের শীর্ষ পর্যায়ের একজন থেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ ক্যারিয়ার স্কিল শেখার সুযোগ আমাদের সবার জন্য একটি অনন্য সুযোগ।”

তিনি আরো বলেন, “এই ওয়ার্কশপ আমাদের ইন্স্যুরেন্স খাতের ডিজিটাল রূপান্তরে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে। দ্রুত পরিবর্তিনশীল এই ডিজিটাল যুগে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে কর্মীদের প্রস্তুত করে তুলতেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

ওয়ার্কশপে উপস্থিত টিম লিডারেরা টিমের সদস্যদের মধ্যে নতুন ধারণা আয়ত্ত করা ও পরিবর্তনের সাথে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে ব্যক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করেন। ওয়ার্কশপ চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা বিটুবি কাজের ক্ষেত্রে যে সকল চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, তা নিয়েও আলোচনা করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজের নানা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও ম্যানেজমেন্ট কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানের তারা উন্নত ও কার্যকরী সেবা প্রদানে প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

উদ্ভাবনী ইন্স্যুরেন্স সমাধান প্রদানে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে গার্ডিয়ান। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘমেয়াদে সেবার উৎকর্ষ অর্জনে কর্মীদের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে।-বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
  • নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কর্মীদের জন্য গার্ডিয়ানের ওয়ার্কশপ
  • নারীদের সেরা সঞ্চয়; পরিবার সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কত, কীভাবে কিনবেন
  • জেনে নিন, জান্নাতি ২০ সাহাবির নাম