রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলার আসামি আওয়ামী লীগের ২০ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে রাজবাড়ী সদর আমলি আদালতের বিচারক মো. তামজিদ আহম্মেদ তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুদ্দীন আহম্মেদ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী সাজ্জাদুল কবির, ইব্রাহিম মণ্ডল, দেলোয়ার হোসেন, সোহরাব রিপন মোল্লা, রনি, আমিরুল ইসলাম, আইয়ুব শেখ ও পান্নু সরদার।

রাজবাড়ী দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকলেও তাঁরা শর্ত ভঙ্গ করেছেন। যে কারণে আজ তাঁরা সদর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে শিক্ষার্থী রাজীব মোল্লা বাদী হয়ে সদর থানায় ১৭০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। মার্চে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য আমরা লুকিয়ে রাখবো না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আদায় জোরদারের মাধ্যমে কমানো হবে। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয় সে জন্য বিভিন্ন আইনি কঠোরতা আনার কথা জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। গত ৫ আগস্টের আগে ঋণ পরিশোধ না করেও বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন সেই সুযোগ বন্ধ হওয়ায় এখন তারা খেলাপি। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ