বৈধ ভিসা থাকলেও আমেরিকায় বাস করতে গেলে বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ একটি নিয়ম মানতে হবে বলে জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনস্থ হোমল্যান্ড নিরাপত্তা বিভাগের হুঁশিয়ারি, যে বিদেশি নাগিরকেরা ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে আমেরিকায় থাকছেন, তাদের অবশ্যই সরকারের কাছে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। না করলে দিতে হবে জরিমানা। এমনকি, জেলও হতে পারে তাদের। যারা এইচ-১বি বা পড়ুয়া ভিসায় আমেরিকায় রয়েছেন, তাদেরও এই নিয়ম মানতে হবে।

নিয়ম না মানলে সেই বিদেশি নাগরিককে দেশ থেকে বার করে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তার আমেরিকায় ফেরার পথ চিরতরে বন্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

হোমল্যান্ড নিরাপত্তা দপ্তর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট দিয়ে লিখেছে, ‘যে বিদেশি নাগরিকেরা ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে আমেরিকায় রয়েছেন, তাদের সরকারের কাছে নথিভুক্ত করতে হবে। না করলে জরিমানা এমনকি জেলবাস বা দুইই হতে পারে।’ এই পোস্টে ট্রাম্পের দপ্তরকে ট্যাগ করেছে প্রশাসন। তাদের আরও হুঁশিয়ারি, এই নিয়ম না মেনে চললে দেশ থেকে বার করে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমেরিকায় ফেরার পথ চিরতরে বন্ধ হতে পারে।

যারা আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসা বা পড়ুয়া ভিসায় রয়েছেন, তাদের উপরও এই নিয়মের প্রভাব পড়বে। রিপোর্ট বলছে, আমেরিকায় অভিবাসীদের সন্তানের বয়স ১৪ পার হলে, তাদের নতুন করে সরকারি দফতরে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। নতুন করে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। ১৪তম জন্মদিনের ৩০ দিনের মধ্যে এই কাজ করতে হবে তাদের। হোমল্যান্ড নিরাপত্তা বিভাগের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, অভিবাসীদের সন্তানের বয়স ১৮ পার হলে, তাদের সব সময় আমেরিকায় বসবাসের বৈধ নথি সঙ্গে রাখতে হবে।

হোমল্যান্ড নিরাপত্তা বিভাগের সচিব ক্রিস্টি নোয়েম বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমার একটি স্পষ্ট বার্তা রয়েছে। যারা এ দেশে অবৈধ ভাবে রয়েছেন, তারা দেশে ছেড়ে চলে যান। এখনই দেশ ছেড়ে চলে গেলে আবার ফেরার সুযোগ পেতে পারেন। আমেরিকায় বাঁচার স্বপ্নপূরণ হতে পারে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র ক ৩০ দ ন র আম র ক য় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান

ভুলক্রমে সীমানায় ঢুকে পড়ায় পাকিস্তানি রেঞ্জারদের হাতে আটক হয়েছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য পুর্নমকুমার সাউ। ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে তিনবার পতাকা বৈঠকে বসলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। এমনকি বিএসএফের অনুরোধেও কর্ণপাত করছে না পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে পঠানকোট বিএসএফ দপ্তরে স্বামীর সর্বশেষ খবর জানিত ছুটে গেছেন পুর্নমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও পরিবার। 

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে পেহেলগাও সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার ভুল করে পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে আটক হন বিএসএফ সদস্য পুর্নমকুমার সাউ। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার রিষড়া পৌরসভার ১৩ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। পুর্নম পাঠানকোটের ফিরোজপুর বর্ডারে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি চব্বিশ ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ কনস্টেবল। 

বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, দায়িত্ব পালনকালে কড়া রোদে ক্লান্ত হয়ে পড়লে গাছের নিচে আশ্রয় নেন পুর্নম। এ সময় তিনি ভুল করে বর্ডার পেরিয়ে গেলে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক হন। এ দিকে ঘটনার পর তিনবার পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছে বিএসএফ। কিন্তু তারা পুর্নমকুমার সাউকে ফিরিয়ে দেয়নি। 

স্বামীর এমন দুঃসংবাদে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী। শেষবার হোলির সময় ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন পুর্নম। গত ৩১ মার্চ কাজে যোগ দেন তিনি।  

পুর্নমের বাবা ভোলানাথ সাউ জানান, ছেলেকে নিয়ে তিনি খুবই চিন্তিত। কোনো খবর পাচ্ছেন না। বিএসএফ কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে তাকে জানানো হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে ছেলেকে মুক্ত করে ফিরিয়ে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন। 

সীমান্তরক্ষীদের ভুল করে নিয়ন্ত্রণরেখা পার হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এ ক্ষেত্রে দুই বাহিনীর বৈঠকের পরে তাদের মুক্তিও দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি ভিন্ন। পাক রেঞ্জার্সের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। গত শুক্রবার পর্যন্ত এই ইস্যুতে তিনবার পতাকা বৈঠকে বসেছেন বিএসএফ এবং পাক রেঞ্জার্সের প্রতিনিধি দল। কিন্তু মিমাংসা হয়নি।   

এরপরই রবিবার পুর্নমের বাড়ি যান বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা পুর্নমকে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন। যদিও মৌখিক কথায় আর ভরসা রাখতে রাজি নন রজনী। এ কারণে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আজ সোমবার পাঠানকোটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখানে তথ্য না পেলে দিল্লি গিয়ে স্বামীর খবর জানতে চাইবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

বিএসএফের পরিচালক জেনারেল দলজিৎ চৌধুরী জানিয়েছেন ঘটনার পরে ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুর্নমকুমার সাউকে ফিরিয়ে আনতে সব রকমের চেষ্টা চলছে। এমনকি পাকিস্তানি রেঞ্জারদের সঙ্গে কমান্ডার স্তরে বৈঠকের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

সুচরিতা/তারা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘একদিন দেখি পশুরমতো ঘরের কোণে বসে কাঁপছে ববি’
  • বিশ্বনেতাদের সতর্ক দৃষ্টির সামনেই ঘটছে গণহত্যা
  • প্রত্যন্ত গ্রামে ক্লিনিক খুলে ‘এমবিবিএস ডাক্তার’ পরিচয়ে চিকিৎসা, এক বছরের কারাদণ্ড
  • ‘শি জিনপিং ফোন করেছিলেন’ ট্রাম্পের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান চীনের
  • শি জিনপিং ফোন করেছিলেন, ট্রাম্পের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান চীনের
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান