খোলপেটুয়ার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেনাবাহিনীর
Published: 13th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধ ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ও দরিদ্র ৮০০ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও যশোর এরিয়ার আয়োজনে আনুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ৫৫ পদাতিক ডিভিশন যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম।
মেডিকেল ক্যাম্পে আট জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিম দ্বারা দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিনামূল্যে ওষুধ প্রদান করা হয়।
চিকিৎসা সেবা প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ১০৫ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, সিভিল সার্জন ডা.
জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম এসময় অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করে বলেন, “যে কোন ধরনের দুর্যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাধারণ জনগণের পাশে থাকে। এই মেডিকেল ক্যাম্পেইন তারই অংশ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ জনকল্যাণ এবং স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আনুলিয়ার ভাঙন কবলিত এলাকার বেড়িবাঁধ সংস্কার ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে এখনো কাজ করছে বলে জানান তিনি।
আগামীতেও বেড়িবাঁধে যে সমস্ত এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সেসব স্থানে বেড়িবাঁধ সংস্কারে জনগণের দাবী অনুযায়ী সেনা বাহিনীর সহযোগিতা করবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি যথাযথ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চায় তাহলে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে। সেনাবাহিনী তো সব সময় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সহয গ ত জনগণ র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে:
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কতা টাকা বরাদ্দ আছে—এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এছাড়া, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কী, সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে, তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।
তিনি বলেন, “আমি গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, রাস্তাকে ধরে রাখার জন্য যে ওয়াল (বিশেষ দেয়াল) দেওয়া হয়েছে, সেটার পিলার বানানোর কথা ছিল স্টোন দিয়ে; কিন্তু বানিয়ে রেখেছে ব্রিক দিয়ে। এটা বড় দুর্নীতি। স্থানীয় মানুষ যদি না জানে, কী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাহলে দুর্নীতি করাটা সহজ। তথ্যের যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তথ্য যত বেশি পাবলিক করা হবে, জনগণ তত বেশি জবাবদিহি করতে পারবে। আমি ঠিকাদারকে জানিয়ে দিয়েছি, সঠিক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে বিল দেব না। তারা বলেছে, এটা ঠিক করে দেবে।”
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যার যার এলাকার কাজ তারা বুঝে নেবেন। বুঝে নেওয়ার জন্য যত তথ্য ও সহযোগিতা লাগবে, সেটা আমরা দেব। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকল্পের সব তথ্য ও ঠিকাদারের ফোন নম্বরসহ দেওয়া থাকবে। স্থানীয় জনগণ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বুঝে নেবেন। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হকারদের জন্য হাটা যায় না। মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ঢাকা শহরে মানুষের চলাচলের অধিকার সবার আগে, সেই অধিকার আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। মিরপুর-১০ এর প্রধান সড়কের যত হকার ও অটোরিকশা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। যারা এ ধরনের ইনফরমাল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্যও আমরা প্ল্যাটফর্ম করব। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। এই শহরটা সবার, সবাই একসাথে বসবাস করব; কিন্তু অন্যদের কষ্ট না দিয়ে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ঢাকা/এএএম/রফিক