হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু
Published: 14th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরাজপুর এলাকায় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম আবদুল করিম (৪৬)। তিনি ওই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে একটি বন্য হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল। হাতিটি তাড়া করতে লাঠি নিয়ে জড়ো হন স্থানীয় জনতা। উৎসুক জনতার কেউ কেউ ঢিলও ছোড়েন হাতিটির দিকে। তাড়া খেয়ে পালাতে থাকা হাতিটির সামনে পড়েন আবদুল করিম। এ সময় তাঁকে পায়ে পিষ্ট করে বন্য হাতিটি। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল কাইয়ুম এ ঘটনা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল করিম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে কৃষিকাজে নিয়োজিত হন। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ৭ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছড়ারকুল এলাকায় মোহাম্মদ হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি বন্য হাতির আক্রমণের শিকার হয়ে মারা যান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল ক
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।