সোনারগাঁয়ে বর্ষবরণে আনন্দ শোভযাত্রা ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধন
Published: 14th, April 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে বাংলা নবর্বষকে স্বাগত জানিয়ে আননদ শোভাযাত্রা, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ৫০ বছর পূর্তি ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ইলিয়া সুমনা।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি জাদুঘরের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে আদম বাজার হয়ে জাদুঘর ২নং গেইট দিয়ে প্রবেশ করে ময়ূরপঙ্খী স্টেজে গিয়ে শেষ হয়। “মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা” প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে অনুষ্ঠানটি বৈশাখী ও রবীন্দ্র সংগীত মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
এ উপলক্ষে ফাউন্ডেশনের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে উৎসব প্রাঙ্গণ পর্যন্ত রঙ-বেরঙের বাতি ও বিভিন্ন প্রাচীন মোটিফ দিয়ে সাজানো হয়েছে ফাউন্ডেশন চত্বর।
তাছাড়া বিভিন্ন সড়কে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে চলছে বৈশাখী প্রচারণা এবং ফাউন্ডেশন চত্বরে থাকছে জমকালো আয়োজন ও লোকজ মঞ্চে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই মেলা ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২৮ এপ্রিল শেষ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ইলিয়া সুমনা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য চন্দ্র শেখর সাহা, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান, সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নূরে ইয়াসিন নোবেলসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম জানান, বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। পাশাপাশি সোনারগাঁ জাদুঘরের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালিত হবে।
এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামদানি, শতরঞ্জি, নকশিকাঁথা, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, হাতপাখা, কাঠখোদাই শিল্প, পটচিত্র শিল্প, শোলা শিল্প, বাঁশ-বেত শিল্প এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন এবং বিপণনের সুযোগ রয়েছে।
এছাড়াও উৎসব চলাকালীন প্রতিদিনই থাকবে বাউল গান ও লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুতুলনাচ, হালখাতা, বায়স্কোপ, সাপের খেলা, নাগরদোলাসহ গ্রামীণ বিনোদনের নানা আয়োজন। থাকছে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা—তিন গুটি, সাত গুটি, বাঘবন্দ, কানামাছি, গোল্লাছুট, বউচি ও কপাল টোক্কা।
সোনারগাঁ কারুপল্লী ও কারুশিল্প দোকান মালিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারন সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন বলেন, অনান্য বছরের তুলনায় এবারের বৈশাখী উৎসব অনন্য এক রুপ নিয়েছে সোনারগাঁ জাদুঘরে। সোনারগাঁ জাদুঘরে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবারের বৈশাখী মেলায় চোখ ধাধানো জমকালো সাজসজ্জায় সেজেছে সোনারগাঁ জাদুঘর।
নিঃসন্দেহে এই সাজসজ্জা বাংলাদেশের বিভিন্ন উৎসবের মধ্যে অন্যতম। তাই সবাইকে পরিবার পরিজন নিয়ে এই বৈশাখী মেলায় ঘুরতে আসা এবং দেশীয় তৈরী বিভিন্ন কারুপন্য ক্রয় করার অনুরোধ রইলো। ফাউন্ডেশনের পরিচালক সহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
এর আগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে ভট্টপুর মডেল স্কুলের মাঠ প্রাঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী বটতলায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ন উপলক ষ জ দ ঘর স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
প্রথম আলো:
‘উৎসব’ ছাড়া এবার অন্য কোনো কাজ দেখা যায়নি। এটা কি সচেতনভাবেই করা হয়েছে?
সৌম্য জ্যোতি : সচেতনভাবেই কাজ করিনি। আমার জীবনে প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা, এটার জন্য অন্য কোনো কাজ করিনি, চাইওনি। উৎসবের সাড়ার পরও আমি একটু বিরতি নেব। পরের কাজটাও একটু ভেবেচিন্তে করব।
প্রথম আলো :
অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ কি শৈশব থেকেই, নাকি পরে তৈরি হয়েছে?
সৌম্য জ্যোতি : ছোটবেলা থেকেই ছিল। কিন্তু নিজে অভিনয় করব, এ চিন্তা কখনো ছিল না। হঠাৎ করে ঘটনাক্রমে অভিনয় শুরু করা। এরপর মানুষের ভালো লাগা পেলাম, সিরিয়াসলি নেওয়া শুরু করলাম। দর্শক যেহেতু প্রশংসা করছেন, তাই কাজটা করছি, কাজটা প্রতিদিন শিখছিও।
জাহাঙ্গীর ও জেসমিনের দুই বয়সের চরিত্রে অভিনয় করছেন সৌম্য জ্যোতি, জাহিদ হাসান এবং সাদিয়া আয়মান ও আফসানা মিমি। সাদিয়া আয়মানের ফেসবুক থেকে