ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণের স্ত্রী আন্না লেজনেভার পরনে শাড়ি। হেঁটে গিয়ে সিঁড়ির কাছে খানিকটা পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসেন। এরপর এক নারী তার মাথার লম্বা চুলগুলো খুর দিয়ে কাটতে শুরু করেন। এরপর ন্যাড়া মাথায় বের হতে দেখা যায় তাকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। তা ছাড়াও বেশ কিছু ছড়িয়ে পড়েছে। যাতে দেখা যায়, ন্যাড়া মাথার আন্না তীর্থযাত্রীদের খাওয়াচ্ছেন। পবন কল্যাণের স্ত্রীকে এমন লুকে দেখে নেটিজেনদের অনেকে হতবাক। হঠাৎ করে কেন ন্যাড়া হলেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।  

সিয়াসাত ডটকম জানিয়েছে, ছেলের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর জানার পরই সিঙ্গাপুরে ছুটে যান পবন কল্যাণ। এরই মধ্যে স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে ভারতে ফিরেছেন। ছেলের দুর্ঘটনার পর পবনের স্ত্রী আন্না তার মাথার চুল উৎসর্গ করার মানত করেছিলেন। আর ভারতে ফিরে তিরুমালার মন্দিরে গিয়ে নিজের চুল উৎসর্গ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি মন্দির থেকে ধারণ করা।

এছাড়াও পুত্র মার্কের নামে মন্দিরের আনন্দদামে ১৭ লাখ রুপি দান করেন আন্না। তীর্থযাত্রীদের বিনামূল্যে খাওয়ানোর জন্য এই অর্থ ব্যয় হয়েছে বলেও এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।  

গত ৮ এপ্রিল সকালে সিঙ্গাপুরে অগ্নিদগ্ধ হয় পবন কল্যাণের পুত্র মার্ক শঙ্কর। মূলত, মার্কের স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় ৮ বছরের মার্ক। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মার্ক শঙ্করের হাত ও পা পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ড থেকে ধোঁয়া সৃষ্টি হওয়ায় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তার। তাকে উদ্ধার করে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; সেখানে চিকিৎসা হয়েছে। সুস্থ হলে ছেলেকে নিয়ে ভারতে ফেরেন পবন কল্যাণ।

১৯৯৭ সালে নন্দিনীকে প্রথম বিয়ে করেন পবন কল্যাণ। ২০০৭ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। ২০০৯ সালে অভিনেত্রী রেণু দেশাইকে বিয়ে করেন পবন। ২০১২ সালে এ সংসারের ইতি টানেন তারা। পবন-রেণু দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।

২০১১ সালে ‘টিন মার’ সিনেমার শুটিং সেটে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান রাশিয়ান মডেল-অভিনেত্রী আন্না লেজনেভার ও পবন কল্যাণ। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই যুগল। এ সংসার আলো করে জন্ম নেয় পোলেনা অঞ্জনা পবনোভা নামে এক কন্যা এবং মার্ক শঙ্কর পবনোভিচ নামে একটি পুত্রসন্তান।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন পবন

এছাড়াও পড়ুন:

নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে মারধরের পর ওই স্কুলছাত্রকে নদীতে ফেলে দেয় তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদেরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। সকালে হামিদচর এলাকায় নদীতে রাহাতের লাশ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বের হয়। এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে সন্ধানের পরও খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রাহাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের চার সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বাচ্চাটি যাবে না, ম্যাডাম’: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের সন্তানের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ
  • প্রযোজক তার সঙ্গে রাত কাটাতে বলেন: অঞ্জনা
  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক