বসতবাড়ির গাছ কাটা নিয়ে কলহ, মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 15th, April 2025 GMT
জামালপুর পৌর শহরে মঞ্জিলা বেগম (৬৫) নামের এক নারীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের হাটচন্দ্রা এলাকায় ওই নারী খুন হয়েছেন।
মঞ্জিলা বেগম চন্দ্রা এলাকার তোতা মিয়ার স্ত্রী। তাঁর ছেলে অভিযুক্ত মোহাম্মদ মঞ্জু মিয়া (৩০) ঘটনার পর থেকে পলাতক। এ ঘটনায় শেখ ফরিদ (৪৫) নামের এক গাছ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। তাঁকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঞ্জিলা বেগম বাড়ির একটি গাছ শেখ ফরিদের গাছে বিক্রি করেন। ওই গাছ কাটতে আসেন শেখ ফরিদ। এ সময় গাছ কাটতে বাধা দেন মঞ্জু মিয়া। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। মঞ্জিলা বেগম দুজনকে থামাতে যান। এ সময় মঞ্জু মিয়া মা ও শেখ ফরিদকে দা দিয়ে কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলে মঞ্জিলা বেগমের মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন আহত শেখ ফরিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, গাছ কাটা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ছেলেকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ খ ফর দ
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে বালতি থেকে ককটেল ছুড়তে ছুড়তে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ
একদল তরুণ ও যুবক বালতি হাতে দৌড়াচ্ছেন। কিছু একটা তুলছেন আর ছুড়ে মারছেন। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হচ্ছে। ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে।
শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামে এভাবে ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিবদমান দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
এর আগে এ বছরের ৫ এপ্রিল ঠিক একইভাবে বিলাসপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
জাজিরা থানা সূত্র জানায়, জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ব্যাপারী এবং একই এলাকার তাইজুল ইসলাম ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ আছে। দুজনই বিলাসপুরের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। নাসির উদ্দিন বিলাসপুরের চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারী এবং তাইজুল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল জলিল মাতবরের সমর্থক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আজ ওই দুই পক্ষের লোকজন গ্রামের দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে একে অপরের ওপর ককটেল ছুড়ে মারেন। তাঁরা দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন অন্তত ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। ওই ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতেও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুরে