চূড়ান্ত হলো ভারতের বাংলাদেশ সফরের সূচি
Published: 15th, April 2025 GMT
তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসবে, তা আইসিসির ভবিষ্যৎ সূচি পরিকল্পনায় (এফটিপি) আগে থেকেই ছিল। আজ সেই দুটি সিরিজের দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বিসিবি।
সব ঠিক থাকলে আগামী ১৩ আগস্ট ঢাকায় আসবে ভারতীয় দল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম দুটি ওয়ানডে হবে ১৭ ও ২০ আগস্ট। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম) শেষ ওয়ানডে ২৩ আগস্ট।
বন্দর নগরীতেই প্রথম টি-টোয়েন্টি ২৬ আগস্ট। এরপর দুই দল ঢাকায় ফিরে মিরপুরে শেষ দুই টি-টোয়েন্টি খেলবে ২৯ ও ৩১ আগস্ট। পরদিন ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছাড়বে ভারতীয় দল।
ভারতের বাংলাদেশ সফরের সূচি২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছে ভারত। সেবার ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছিল।
আরও পড়ুন‘নন স্টপ’ ক্রিকেটে নেই দম ফেলার ফুরসত০৪ এপ্রিল ২০২৫বাংলাদেশের মাটিতে দুই দল এর আগে একাধিকবার টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে। তবে এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব