জামালপুরে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 15th, April 2025 GMT
জামালপুরে ছেলের বিরুদ্ধে মাকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত মঞ্জিলা বেগম শহরতলীর চন্দ্রা ঘুন্টি এলাকার তোতা মিয়ার স্ত্রী এবং অভিযুক্ত মো. মঞ্জুর মা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ছেলের ছুরির আঘাতে শেখ ফরিদ নামে এক ব্যক্তি আহত হন। তিনি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়ির পাশে একটি গাছ কাটার জন্য শেখ ফরিদের সাথে যোগাযোগ করেন মঞ্জিলা বেগম। সকালে গাছ কাটতে এলে গাছের দাম নিয়ে শেখ ফরিদ ও মা মঞ্জিলা বেগমের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় মঞ্জুর। এরপরেও গাছ কাটতে গেলে ধারালো ছুরি দিয়ে শেখ ফরিদকে কোপানো শুরু করে মঞ্জু। এসময় মা মঞ্জিলা বেগম বাধা দিতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে মঞ্জু। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
জামালপুর থানার ওসি (তদন্ত) আনিছুল আশেকীন বলেন, ‘‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত মঞ্জু মাদকাসক্ত ছিল। তাকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’’
ঢাকা/শোভন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম ওরফে রিয়াদ। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরের বকচর এলাকার কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও সমিতির নেতা-কর্মীদের সামনে তিনি পদত্যাগ করেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ মোহাম্মদ রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল সহকারে নেতা-কর্মীরা বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে জড়ো হন। এ সময় আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে আরিফুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরিফুলকে অপসারণে সময়সীমা বেঁধে দেন তাঁরা। আজ পদত্যাগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে অবস্থান নেন তাঁরা। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে কার্যালয়ের ভেতর থেকে ৮ থেকে ১০ জন ব্যক্তি সেখানে হামলার চেষ্টা করলে নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করেন এবং একজনকে চাকুসহ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ সময় কয়েকজন পালিয়ে যান। এরপর নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে আরিফুল ইসলাম পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে সভাপতির কাছে জমা দেন। পরে অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা সন্ধ্যায় আনন্দ মিছিল বের করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের মুখপাত্র ফাহিম আল-ফাত্তাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আরিফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দোসর। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর একজন দোসর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের চেয়ারে থাকতে পারে না। তাই শিক্ষার্থীরা তাকে পদত্যাগের কর্মসূচি নেয়। আমরা শুনেছি রিয়াদ পদত্যাগ করেছে।’
এ বিষয়ে সংগঠনটির আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘রিয়াদকে পদত্যাগ করানো আমাদের দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয়। তবে তিনি আওয়ামী লীগের দোসর। স্বৈরাচারী দোসররা ৫ আগস্টের পর কোনো দপ্তরের চেয়ারে থাকবে না, সেটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বলেন, মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে ছাত্ররা গিয়ে মব সৃষ্টি করে সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ দাবি করেন। এ সময় এক যুবক চাকু নিয়ে ভেতরে ঢোকেন। তখন ছাত্ররা তাঁকে ধরে পুলিশের কাছে তুলে দেন। এরপর সেই যুবককে অস্ত্র আইনের মামলায় বিকেলে আদালতে পাঠালে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।