নির্বাচনের জন্য মুদ্রণকাজে তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে: ইসি সচিব
Published: 15th, April 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা ধরনের মুদ্রণকাজে কী পরিমাণ কাগজ লাগবে, সম্ভাব্য ব্যয় এবং কেনাকাটা ও মুদ্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সময় নিয়ে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। এ কাজে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসির কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আসন্ন নির্বাচনে কী পরিমাণ কাগজ লাগবে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া এবং এ–সংক্রান্ত বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া আগের নির্বাচনের কিছু কাগজ বিজি প্রেসে রয়েছে, সেগুলোর মান নষ্ট হয়ে থাকলে ‘ডিসপোজালের’ (নষ্ট করা) ব্যবস্থা করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়, মূলত কাগজ কেনাকাটা থেকে মুদ্রণ পর্যন্ত তিন থেকে চার মাস সময় লাগে।
ইসি সচিব বলেন, আগামী নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত তাঁরা জানেন না। তবে নির্বাচনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি লাগবে, প্রস্তুতি থাকতে হবে। প্রস্তুতি না থাকলে ‘গ্যাপের মধ্যে’ পড়ে যেতে হবে। কাগজের পরিমাণ কতটুকু ও কত দিন সময় লাগতে পারে, সে বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুতি রাখার জন্য এ আলোচনা করা হয়েছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, সংসদ নির্বাচনে ২১ ধরনের ফরম, ১৭ ধরনের প্যাকেট, ৫ ধরনের পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, নির্দেশিকাসহ অনেক কিছু মুদ্রণ করতে হয়। তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র এবং প্রতীক বরাদ্দ হলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক নিয়ে ব্যালট পেপার ছাপানো হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত ত সময় ল গ র জন য ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।