নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ইয়ুথ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে।  মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় ফুটবলদলের সাবেক জনপ্রিয় ফুটবলার মো. সম্রাট  হোসেন এমিলি সোনারগাঁ ষ্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোনারগাঁ কিংস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাদাফ সুলতান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আল মাহমুদ সানি, উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিব রহমতউল্লাহ মাহবুব, যুগ্ম সম্পাদক একেএম জানে আলম দিপু, ক্রিড়ানুরাগী মো.

আবু তাহের, সাংবাদিক আল আমিন তুষার, হাসান মাহমুদ রিপন, রবিউল হুসাইন, মিজানুর রহমান ও মশিউর রহমান, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন, ক্রিড়ানুরাগী মো. বাপ্পী, বুলবুল আহমেদ প্রমূখ।

টুর্নামেন্টে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে মোট দশটি ফুটবল দল অংশ গ্রহন করবে।

উদ্বোধনী খেলায়  বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন একাদশ ও কাঁচপুর ইউনিয়ন একাদশ অংশ নেয়। খেলায় কাঁচপুর ইউনিয়ন একাদশকে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন একাদশ ১-০ গোলে পরাজিত করে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ফ টবল ন র য়ণগঞ জ স ন রগ ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ