খুবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার
Published: 15th, April 2025 GMT
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে শেষ হবে শুক্রবার। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এবারই প্রথম খুলনাসহ ঢাকা ও রাজশাহী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ১০৯টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৭ হাজার ৬৮৫ জন। এ হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ৯৭ জন শিক্ষার্থী।
আগামী ১৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘সি’ (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা এবং চারুকলা অনুষদ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া চারুকলার ড্রইং পরীক্ষা দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রেভারেন্ড পলস্ হাই স্কুল, কেসিসি উইমেন্স কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ১৪ হাজার ৪৮০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। এ পরীক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কেন্দ্রে ১২ হাজার ১০৪ জন এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) কেন্দ্রে ৭ হাজার ৮৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।
এদিন দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ‘ডি’ ইউনিটের (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা শুধু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ১৫৪ জন।
আগামী ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘বি’ (জীব বিজ্ঞান অনুষদ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ৭ হাজার ৮৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এ পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৬৮৪ জন এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬ হাজার ৩৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।
এদিন বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ‘এ’ (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা অনুষদ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত স্থাপত্য’র ড্রইং পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এ পরীক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, দেলদার আহমেদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রেভারেন্ড পলস্ হাই স্কুল, হোপ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ১১ হাজার ১৫৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। এ পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২১ হাজার ৫৬০ জন এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮ হাজার ৪৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এ পর ক ষ য় ইউন ট র র ভর ত সরক র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।