ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলারের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এনসিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং যে প্রেক্ষাপটে এনসিপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এ ছাড়া বৈঠকে এনসিপির প্রস্তাবিত সংস্কার ও বিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরা হয়। বিশেষত, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সাবেক শাসনামলের অন্যান্য গুরুতর অপরাধগুলোর বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন য ন এনস প র ইউর প য

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ