ফেনীর সোনাগাজীতে স্থানীয় এক যুবদল নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। পরে ওই যুবদল নেতার পারিবারিক কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযুক্ত যুবদল নেতার নাম সাঈদ হোসেন ওরফে আইভি। তিনি সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের সদস্য ও সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহসভাপতি। অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

বায়েজিদ আকন অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন সূত্রে সাঈদ হোসেনের কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে, এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় তিনি ঘরে ছিলেন না। পরে তাঁর পারিবারিক কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিদেশি পিস্তলটি উদ্ধার হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি সোনাগাজীর চর খন্দকার এলাকায় কৃষিজমির মাটি কাটার জন্য এক্সকাভেটর সরবরাহ নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আহত হন অন্তত ১৫ জন। সংঘর্ষের সময় সাঈদ হোসেন, তাঁর সঙ্গীদের অস্ত্রসহ প্রকাশ্যে মহড়া দিতে দেখা যায়।

এদিকে গতকাল উপজেলার চরগোপালগাঁও এলাকায় যৌথ বাহিনী পৃথক অভিযানে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি গুলিসহ ইব্রাহিম খলিল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ইব্রাহিম খলিল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একটি মাদকের মামলা রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে মামলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বদল ন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।

অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কবর খুঁড়ে ১৪টি কঙ্কাল চুরি
  • বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
  • এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ, ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে নালিশি
  • গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
  • কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু