ইরাকের রাজধানী বাগদাদসহ বিভিন্ন প্রদেশের ওপর দিয়ে প্রবল বালুঝড় বয়ে গেছে। এতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৩ হাজার ৭৪৭ জন।

ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈফ আল বদর রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আইএনএ-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, মঙ্গলবার বাগদাদ এবং আরও কয়েকটি প্রদেশে বালুঝড় হয়েছে। এতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিচিৎসা নিতে এসেছেন কমপক্ষে ৩ হাজার ৭৪৭ জন। অসুস্থদের সবাই শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আল মুথান্নায়। বাগদাদে ১ হাজার ১৪ জন এবং আল মুথান্নায় ৮৭৪ জন মঙ্গলবারের বালুঝড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। বাকি রোগীরা অন্যান্য অঞ্চলের।

হাসপাতালে আসা এই রোগীদের একটি ক্ষুদ্র অংশ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এসেছিলেন। তাদেরকে উচ্চতর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঝড়ে ইরাকের কোথাও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সাঈফ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইএনএ-কে আরও বলেন, গুরুতর অসুস্থ হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হবে। আমাদের ওষুধ, মেডিকেল সাপ্লাই কিংবা অক্সিজেন— কোনোটিরই অভাব নেই।

ইরাকে বালুঝড় বিরল কোনো দুর্যোগ নয়; তবে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে বালুঝড়ের হার বাড়ছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের জেলে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ইরানের স্থান পঞ্চম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল ঝড়

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ