আর্সেনালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে আর্সেনালের মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।

দ্বিতীয় লেগের আগে স্পেনের রাজধানী জুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ সম্ভবত ‘রেমনতাদা’। যার অর্থ কামব্যাক। বার্নাব্যুতে কামব্যাক করতে মুখিয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।

সেজন্য ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে ‘আয়নাঘরে’ পরিণত করতে চায় লস ব্লাঙ্কোসরা। যেখানে থাকবে না বাইরের কোন বাতাস, শব্দ, আলো। থাকবে শুধু রিয়াল মাদ্রিদের ভক্তদের কানফাঁটা চিৎকার। যা ভয়ঙ্কর কোন দানবের করা ‘গো গো’ শব্দে স্টেডিয়াম ভারি করে তুলবে।

আর্সেনাল ফুটবলারদের জন্য বুকে দুরুদুরু কাঁপন ওঠা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় রিয়াল। আর এসব করতেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ছাদ বন্ধ করে দেবে রিয়াল মাদ্রিদ। ইচ্ছে করলেই অবশ্য ছাদ বন্ধ করা যায় না। সেজন্য উয়েফার অনুমতি লাগে। রিয়াল মাদ্রিদ বোর্ড ম্যাচের আগে উয়েফার কাছে ওই আবেদন করেছিল।

আবেদনে রিয়ালের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছিল ‘ম্যাচের জন্য সেরা পরিবেশ সৃষ্টি’ করতে চান তারা। উয়েফা ওই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। যার অর্থ রিয়াল মাদ্রিদ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ছাদ বন্ধ করে স্টেডিয়ামটাকে গানারদের জন্য ‘আয়নাঘরে’ পরিণত করতে পারবে।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দর্শক ধারণক্ষমতা ৮১ হাজার। সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এর মধ্যে ৭০ হাজারের মতো টিকিট বিক্রি করা হয়। আর্সেনাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বড় এই ম্যাচের জন্য ভাগে মাত্র ৩ হাজার ৮৭৫ টিকিট পেয়েছে। বাকি দর্শক থাকবে রিয়ালের। গ্যালারি ছেঁয়ে থাকবে সাদার, তবে ভক্তদের হৃদয়ে থাকবে প্রতিশোধের আগুন।

এর আগে গত মৌসুমেও রিয়াল মাদ্রিদ সেমিফাইনালে কামব্যাক করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখে। প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে ২-২ গোলের সমতা করে আসে ব্লাঙ্কোসরা। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে ৬৮ মিনিটে গোল খেয়ে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে। কিন্তু হোসেলু ৮৮ ও ৯১ মিনিটে গোল করে রিয়ালকে ফাইনালে তোলেন। গত বছর ম্যানসিটির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও হোম ম্যাচে বন্ধ ছিল বার্নাব্যুর ছাদ।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর স ন ল আর স ন ল র জন য ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।

শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।

এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে,   এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ