রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) গঠনতন্ত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাকসু ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ২০২৫-২৬ নির্বাচনের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেনকে।

গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৩৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো.

নিজাম উদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম, মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহা. এনামুল হক, আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. আমিনুল হক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। ওই মাসেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাঁচ মাসের মধ্যে রাকসু নির্বাচন দেওয়ার কথা জানান তিনি। এরপর রাকসু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্রসংগঠনসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনায় বসে প্রশাসন। রাকসু আন্দোলন মঞ্চ, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত রাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানায়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাকসু নির্বাচনের পথনকশা (রোডম্যাপ) প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পথনকশা অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে রাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনীর পরামর্শ নেওয়া হলেও প্রকাশ করা হয়নি চূড়ান্ত বিধিমালা ও নির্বাচনের আচরণবিধি। আগামী জুনের তৃতীয় থেকে চতুর্থ সপ্তাহে রাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি

ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চেয়ে চিঠি দিয়েছে আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বার ইউনিট।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের বরাবর এ চিঠি দেওয়া হয়। এসময় ঢাকার বার ইউনিটের আহবায়ক আইনজীবী মো. মমিনুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

চিঠির বিষয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদ বলছে, গত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পর তাদের সমর্থিত আইনজীবীরা পালিয়ে যাওয়ায় এক ক্রান্তিলগ্নে অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। যদিও ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে এ ধরনের অ্যাডহক কমিটির বিধান নেই। তবুও ঢাকা বারের আইনজীবীরা বৃহত্তর স্বার্থে এ অ্যাডহক কমিটির কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। কমিটির দায়িত্ব ছিল গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। পরবর্তীতে এক সাধারণ সভায় এ অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ গত ২৬ জানুয়ারি তিন মাস বাড়ানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী এ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল গঠন করার কথা। তবে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার শেষ দিন থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ঢাকা আইনজীবী সমিতির ৩২ হাজারের অধিক আইনজীবীর ভোটাধিকার প্রশ্নে কোনো ধরনের অগঠনতান্ত্রিক পদক্ষেপ বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ সমর্থন করবে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠন হিসেবে আইনজীবীদের ভোটাধিকার প্রশ্নে আপোষহীন থাকবে। ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠনে অ্যাডহক কমিটিকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায় সংগঠনটি। 

এ বিষয়ে ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, “নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা এখন চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা আইনজীবী অধিকার পরিষদ কঠোর আন্দোলন করবো।” 

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, “অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আমার বরাবর একটা চিঠি এসেছে। তবে এখনো চিঠি পড়া হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েই আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। সেই সময় শেষ হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

ঢাকা/মামুন/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি