আমি সিনারের মতো করলে ২০ বছর নিষিদ্ধ হতাম—সেরেনার বিস্ফোরক দাবি
Published: 17th, April 2025 GMT
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েও মাত্র তিন মাস নিষিদ্ধ হয়েছেন ছেলেদের টেনিসের বর্তমান এক নম্বর খেলোয়াড় ইয়ানিক সিনার। ব্যাপারটা মানতে পারছেন না মেয়েদের টেনিসের কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামস। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সেরেনা যা বললেন তাতে টেনিসে বর্ণবাদের উপস্থিতির প্রচ্ছন্ন প্রমাণও বলতে পারেন।
সেরেনা বলেছেন তিনি যদি ডোপ টেস্টে পজিটিভ হতেন তবে তাঁকে হয়তো ২০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হতো। এ ছাড়া তাঁর জেতা সব গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফিও কেড়ে নেওয়া হতো বলেও মনে করেন ২৩ বারের গ্র্যান্ড স্লাম একক চ্যাম্পিয়ন।
২০২৪ সালের ডোপ কাণ্ডে শাস্তিটা এ বছরই পেয়েছেন ইতালিয়ান তারকা। ফিজিও অসাবধানতায় তাঁর শরীরে প্রবেশ করেছে নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক এমন দাবি তুলেই বৈশ্বিক অ্যান্টি-ডোপিং সংস্থা ওয়াডার সঙ্গে লড়াই করছিলেন সিনার। তবে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়ে ‘ঝামেলামুক্ত’ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিনার। আগামী মাসে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কোর্টে ফেরার কথা বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয়ী সিনার।
ছেলেদের টেনিসের এক নম্বর খেলোয়াড় ইয়ানিক সিনার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা মঙ্গলবার আবার শুরু
আগামী মঙ্গলবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা আবার শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে এই আলোচনা শুরু হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবারের আলোচ্যসূচি হিসেবে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো আগের অসমাপ্ত আলোচনা সমাপ্ত করা (সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন ও নারী প্রতিনিধিত্ব), দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ (নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ) এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মঙ্গলবার আলোচনা শেষ হওয়ার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথমে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করবেন। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ব্রিফ করবেন। আলোচনা অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন-নিউজ (বিটিভি-নিউজ) সরাসরি সম্প্রচার করবে।
সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০ মার্চ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করে কমিশন। গত ১৯ মে পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, সিপিবি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশনে আলোচনা করেছে কমিশন।
প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলেও মৌলিক সংস্কারের কিছু প্রস্তাব নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। সেসব প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ২ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরের দিন বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তিনটি বিষয়ে (সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন ও নারী প্রতিনিধিত্ব) আলোচনার পর ওই দিন অধিবেশন মুলতবি করা হয়। সেই মুলতবি বৈঠকই মঙ্গলবার আবার শুরু হচ্ছে।
আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবারও আলোচনা হবে বলে আজ রোববার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বুধ ও বৃহস্পতিবারের আলোচ্য সূচি (আলোচনার বিষয়বস্তু) পরে জানাবে কমিশন।