চবির ৫ শিক্ষার্থীর অবস্থান শনাক্ত, বিশেষ অভিযান চলছে: সেনাবাহিনী
Published: 17th, April 2025 GMT
খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে অপহরণের শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীর অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো.
তিনি বলেন, ‘‘অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর অবস্থান কিছুটা শনাক্ত করা গেছে। এ বিষয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।’’
পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে কেমন জানতে চাইলে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা অবস্থা ভালো।’’
অপহৃতরা হলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো।
অপহৃতদের মধ্যে রিশান চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য। পিসিপি এ ঘটনায় ইউপিডিএফকে দায়ী করলেও তারা তা অস্বীকার করেছে। ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেছেন, অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না।
ব্রিফিংয়ে নির্বাচনের বিষয়ে মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকার ও নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে সেনাবাহিনী।’’
তিনি বলেন, ‘‘মেজিস্ট্রিসি পাওয়ারে কাজ করতে গিয়ে রাজনৈতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে না সেনাবাহিনী। কিন্তু আটকের পর তা অন্য বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে সেনাবাহিনীর কোনো ভূমিকা নেই। কোনো রকম কোনো গুজবে সেনাবাহিনী বিচলিত নয়।’’
এ সময় তিনি জানান, গত দুই মাসে দেশে শিল্পাঞ্চল এলাকায় ১৩৭টি এবং এর বাইরে ২৩২ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ হাজার ৮২২ জনকে। কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী, প্রতারক চক্রের সদস্যরা রয়েছে।
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে ৪ হাজার ৩৪০ জন এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর দ্বারা চিকিৎসা নিয়েছে, এখনো চিকিৎসাধীন ৪৩ জন রয়েছেন বলে জানান কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ অপহ ত
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।