জামিনে থাকা সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের পর পুলিশে দিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা
Published: 17th, April 2025 GMT
বগুড়ায় শাজাহানপুরে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় জামিনে থাকা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে ধাওয়া করে ধরে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শাজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতার নাম আরিফুল ইসলাম ওরফে কাজল। তিনি শাজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বাড়ি উপজেলার পারতেখুর মধ্যপাড়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আরিফুল ইসলাম উপজেলার খরনা বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা তাঁকে ধাওয়া দেন। আত্মরক্ষার্থে আরিফুল ডোমনপুকুর গুচ্ছগ্রামে আশ্রয় নেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে তাঁকে ধরে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেন।
২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে যুবদল নেতা ফোরকান আলীকে হত্যার অভিযোগে গত ১ নভেম্বর বগুড়ার আদালতে মামলা হয়।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াদুদ আলম বলেন, যুবদল নেতা ফোরকান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আরিফুল ইসলাম সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন মামলা নেই। এখন জনতা যেহেতু তাঁকে আটক করে থানায় দিয়েছে, সে কারণে যেকোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
আরও পড়ুনমিথ্যা তথ্য দিয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৬০ আসামির নামে ফোরকান হত্যা মামলা, বাবার অভিযোগ২২ নভেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম রধর র ব এনপ র কর ম র আর ফ ল উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।