খাগড়াছড়ির রামগড়ে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে শালিসী বৈঠকের পর সংঘর্ষে মো. আবুল কালাম (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ সংঘর্ষে অন্তত আরো ৭ জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে খাগড়াছড়ির রামগড়ের তৈছালাপাড়ায় এ সংঘর্ষ ঘটে । 

জানা গেছে, রামগড় পৌরসভার ৬নং তৈচালা পাড়া ওয়ার্ডের  জনৈক মর্তুজা আলীর জমিতে একই এলাকার সাদ্দাম নামক আরেক ব্যক্তির গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শালিসী বৈঠক বসে। বিচারে বিষয়টি মীমাংসাও হয়। কিন্তু বিচার শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন জানান, সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। শুক্রবার ভোর রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো.

আবুল কালাম মারা যায়।

ঢাকা/রূপায়ন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ র মগড়

এছাড়াও পড়ুন:

৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি

মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে আবারো ভারতীয় জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক করা হয়েছে বাংলাদেশি ট্রলার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মায়ের দোয়া নামক ওই ট্রলারে মোট ১৩ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বাংলাদেশি ওই ফিশিং ট্রলারটি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী।

উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের আটক এর ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাজেয়াপ্ত ট্রলার ও ১৩ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার হাতে ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হবে। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ 

অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!

এর আগে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে জলসীমা অতিক্রম করার অভিযোগে আটক করা হয় ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবিকে। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল  বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ‘এফবি ঝড়’ এবং ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’ নামে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারের ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরবর্তীতে মোংলা থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পাল্টাপাল্টি মৎস্যজীবী আটকের ঘটনায় দুই দেশের তরফেই ফের কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে মৎসজীবীদের প্রত্যর্পণের বিষয়ে দুই দেশের এখনো কোনোপ্রকার আলোচনা শুরু হয়নি বলেই দূতাবাস সূত্রের খবর।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ