বন্দরে ফরাজিকান্দা রাস্তাটি ধসে পড়েছে খালে
Published: 18th, April 2025 GMT
ভারি বৃষ্টিপাতের সময় বসুন্ধরা সিমেন্টবাহী ট্রাক অবাধে চলাচলের কারনে বন্দরে ফরাজিকান্দা বাজারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ধসে গিয়ে সাধারন জনগনের যাতায়েতের মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে উল্লেখিত এলাকায় এ রাস্তাটি ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় মুহুর্তে মধ্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে পররে ওই পথে সাধারন যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পরে।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানাগেছে, ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসন আমলে কতিপয় স্বার্থনিশি মহল নিম্নমানের কাজ করার কারনে নির্মানের ২ বছর না যেতেই রাস্তাটি ধ্বসে পরেছে সরকারি খালে।
এতে করে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা, বালিয়াগাও, আলীনগর, পুনাইনগর, ঘারমোড়া, চুনাভূরা, আলীসারদী, শুভকরদী, কলাগাছিয়া, নিশং, মহনপুর ১নং মাধবপাশা ও ২ নং মাধবপাশা, কান্দিপাড়াসহ কমপক্ষে ২০/২৫ হাজার সাধারন জনগনের যাতায়েত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরে।
কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বালিয়াগাও এলাকার বাসিন্দা জনৈক আমির হোসেন আরো জানান, রাস্তাটি ভেঙ্গে পরার কারনে সাধারন জনগনসহ এসএসসি পরিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যাগ না করায় এ ইউনিয়নের অধিকাংশ জনসাধারন বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে শহর ও বন্দরে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?