বাল্যবিয়েতে বাধা দেওয়ায় মুন্সীগঞ্জে কনে পক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যসহ আহত ৩
Published: 19th, April 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নে বাল্য বিবাহে বাধা দেওয়ায় কনে পক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যসহ তিন জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে আধারা ইউনিয়নের জাজিরা সিকদারকান্দি গ্রামের সিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন, শহরের শ্রীপল্লী এলাকাট মনিরুল ইসলাম ও টাঙ্গাইলের লিখন মিয়া নামের তিন জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিন জনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, জাজিরা সিকদারকান্দি গ্রামে সিকদার বাড়ির নুরনবি সিকদারের ১৩ বছর ৫ মাস বয়সী মেয়ে সাবিয়া আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শুক্রবার। কনের বয়স কম হওয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আধারা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীনসহ তিন ব্যক্তি কনে পক্ষকে বাল্য বিয়ে দিতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মনির সিকদার, বোরহান সিকদার ও জাকির সিকদারের নেতৃত্বে কনে পক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে। পরে বিকেল ৪টার দিকে সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত তিন জনকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।
টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।
বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।
আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।