ডাইনোসর বিলুপ্ত না হলে কী ঘটতে পারত পৃথিবীতে
Published: 19th, April 2025 GMT
একসময় বিশালকার ডাইনোসর পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াত। প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে বিশাল গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায় ডাইনোসর। যদি সেই বিপর্যয় না ঘটত তাহলে পৃথিবীর প্রাণের বিকাশ অন্য রকম হতো বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডাইনোসর প্রায় ১৬ কোটি বছর ধরে পৃথিবীর স্থলভাগে রাজত্ব করেছে। এই দীর্ঘ সময়কালে মাংসাশী দুই পায়ের ডাইনোসর থেরোপড, আকারে বড় গ্রিবাযুক্ত তৃণভোজী সরোপড, পাখির মতো অর্নিথিশিয়ানের মতো বিভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসর পৃথিবীতে ছিল।
থেরোপড ডাইনোসরদের একটি শাখা থেকেই আজকের পাখির উদ্ভব হয়েছে। যদি বিলুপ্তি না ঘটত, তাহলে ছোট আকারের পালকযুক্ত থেরোপডরা আরও বুদ্ধিমান ও সামাজিক প্রাণীতে বিবর্তিত হতে পারত। তারা হয়তো গাছের ডালে বাসা বাঁধত, দলবদ্ধভাবে শিকার করত ও উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করত। কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন, এরা হয়তো আজকের দিনের বুদ্ধিমান স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতো জটিল সামাজিক কাঠামো ও আচরণ প্রদর্শন করত। অন্যদিকে বড় আকারের থেরোপডদের মধ্যে টাইরানোসরাস রেক্সের বংশধররা আরও শক্তিশালী শিকারিতে পরিণত হতো।
অন্যদিকে বিশালকার সরোপডদের ক্ষেত্রেও বিবর্তনের প্রভাব দেখা যেত। তৃণভোজী প্রাণী হিসেবে তাদের টিকে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকত। বিভিন্ন ধরনের নতুন উদ্ভিদের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস মানিয়ে নিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছুটে বেড়াত এই ডাইনোসর। কিছু সরোপড হয়তো আরও ছোট ও দ্রুতগামী প্রজাতিতে বিবর্তিত হয়ে খোলা তৃণভূমিতে দলবদ্ধভাবে বাস করত।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডাইনোসরদের বিলুপ্তি না ঘটলে আজকের পৃথিবীতে তাদের বুদ্ধিমান প্রজাতিও দেখা মিলত। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মস্তিষ্কের বিকাশের মতো কিছু ডাইনোসরের মস্তিষ্কের আকারও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পেত।
সূত্র: বিবিসি, দ্য কনভারসেশন
https://www.
https://theconversation.com/what-if-the-dinosaurs-hadnt-gone-extinct-why-our-world-might-look-very-different-191599
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।