গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ অস্ত্রধারী ৩ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
Published: 19th, April 2025 GMT
পলাতক মামলার আসামি ধরতে গিয়ে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের থেকে ১৮ রাউন্ড গুলি ও ১টি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার সিলমারি এলাকার গ্রামের তরিকুল ইসলাম ওরফে তরী (৩৮), মো. ও মো. রওশন ইসলাম (৪০) ও একই উপজেলার খারিজাথাক গ্রামের মো.
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুদ আনোয়ার আকন্দ।
উপপরিদর্শক বলেন, “একাধিক মামলার পলাতক আসামি তরীকে গ্রেপ্তার করতে বৃহস্পতিবার রাতে জয়দেবপুর থানার নয়াপাড়া অভিযান চালানো হয়। সন্ত্রাসী তরী কাজল মার্কেটে আধাপাকা বসতঘরের দক্ষিণ পাশে লুকিয়ে ছিল। সেখান হতে তরী ও তার ভাই রওশন ও ইনাম আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আশপাশের লোকজনের সামনে তাদের তল্লাশি করা হলে তাদের কাছ থেকে ১৮ রাউন্ড গুলি ও ১টি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আসামি মো. তরিকুল ইসলাম ওরফে তরীর বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর থানা, সিরাজগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর, গেন্ডারিয়া, মুন্সিগঞ্জ ও চট্টগ্রাম থানায় মামলা রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই একাধিক মামলার আসামি।”
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মাসুদ আনোয়ার আকন্দ বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কলেজছাত্র নিহত
নরসিংদীর রায়পুরায় তিতাস কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মো. রওনক (১৭) নামের এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রায়পুরার পলাশতলী ইউনিয়নের আশারামপুর এলাকা থেকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
নিহত মো. রওনক রায়পুরা সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামের মইনুল হোসেনের ছেলে।
রেলওয়ে পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত ব্যক্তির স্বজন সূত্র জানায়, মুঠোফোনের ব্যাটারি মেরামত করতে গতকাল দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নরসিংদী শহরের উদ্দেশে রওনা হয় রওনক। বেলা সাড়ে তিনটায় মেথিকান্দা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী তিতাস কমিউটারের ছাদে চেপে বসে। যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেনটি আবার যাত্রা শুরুর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যায় রওনক। রেললাইনের পাথরে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁর লাশ রেললাইন থেকে সরিয়ে আনে ও ঘটনাটি নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে জানান। খবর পেয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করেন। এরই মধ্যে তাঁর স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।