৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের আকাশে দেখা যাবে যেসব চমক

প্রযুক্তি ডেস্ক

এখন গ্রীষ্মকাল। আকাশ সন্ধ্যার পর থেকে ধীরে ধীরে মধ্যরাতে বেশ পরিষ্কার হতে শুরু করে। মধ্যরাতে আকাশে বেশ চমক দেখা যাচ্ছে।

২০ এপ্রিল

মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত আকাশে শনি গ্রহ বেশ স্পষ্টভাবে দেখার সুযোগ থাকবে।

২১ এপ্রিল

সকালের আকাশে সর্বোচ্চ উচ্চতায় দেখা যাবে বুধ গ্রহ। বুধ গ্রহ এদিন পশ্চিম আকাশে সবচেয়ে দূরত্বে অবস্থান করবে।

২২ এপ্রিল

এদিন আকাশে হাউমা বামন গ্রহ আকাশে সূর্যের বিপরীতে অবস্থান করবে। লিরিডি উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে রাত ৮টা ৪৯ মিনিট থেকে। মেসিয়ার ১০১ বা পিনহুইল গ্যালাক্সি এম১০১ বেশ স্পষ্টভাবে আকাশে দেখা যাবে।

২৩ এপ্রিল

পাই-পাপিড উল্কাবৃষ্টির মাত্রা সর্বোচ্চ দেখা যাবে এদিন আকাশে।

২৪ এপ্রিল

এদিন আকাশে সর্বাধিক উজ্জ্বলতায় দেখা যাবে শুক্র গ্রহ। এদিন আকাশে বিভক্ত বুধ গ্রহ দেখা যাবে।

২৫ এপ্রিল

এদিন চাঁদ ও শুক্র গ্রহের কনজুগেশন অবস্থানে থাকবে।

২৬ এপ্রিল

চাঁদ ও বুধ গ্রহের কনজুগেশন বা সংযুক্ত অবস্থানে দেখা যাবে। রাত ৩টা ২৬ মিনিটে দেখা যাবে এদের অবস্থান।

২৭ এপ্রিল

শুক্র গ্রহ এদিন রাত ৩টা ২০ মিনিট থেকে বেশ স্পষ্টভাবে আকাশে দেখা যাবে।

২৮ এপ্রিল

এদিন সন্ধ্যার পরে রাত ১২টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহ আকাশে স্পষ্ট দেখা যাবে।

২৯ এপ্রিল

এদিন রাতে শুক্র, শনি ও নেপচুন গ্রহ কাছাকাছি অবস্থান করবে। ভোররাত ৩টা ২৪ মিনিটে এদের কাছকাছি অবস্থানে দেখা যাবে। এদিন দীর্ঘ সময় চাঁদ ও এম৪৫ তারকামণ্ডলকে কাছাকাছি দেখা যাবে।

৩০ এপ্রিল

এদিন চাঁদ ও বৃহস্পতি গ্রহ কাছাকাছি অবস্থান করবে। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকে পশ্চিম আকাশে বেশ স্পষ্টভাবে চাঁদ ও বৃহস্পতি গ্রহকে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে।

সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ ও স্কাই ম্যাপস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ ন করব

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ