৩-১ এ পিছিয়ে পড়েও বার্সার ধ্রুপদী জয়
Published: 20th, April 2025 GMT
একেই মনে হয় বলে ‘চ্যাম্পিয়নস লাক’। লা লিগার ম্যাচে শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে বার্সেলোনা পিছিয়ে ছিল ৩-১ ব্যবধানে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় হান্সি ফ্লিকের দল। বার্সা তাদের ম্যাচজয়ী গোলটা করে খেলার ৯৮তম মিনিটে!
শনিবার এক রোলার-কোস্টার ম্যাচে সেল্টার বিপক্ষে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। রাফিনহার যোগকরা সময়ের পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলটার সুবাদে ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত হয় কাতালান জায়ান্টদের। ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে লিগ টেবিলে সাত পয়েন্ট এগিয়ে থাকাটা নিশ্চিত হলো তাদের।
ঘরের মাঠ অলিপমিক লুইস স্টেডিয়ামে বার্সেলোনা ১২তম মিনিটে এগিয়ে যায়। ফরোয়ার্ড ফেরান তোরেস এগিয়ে দেয় তাদের। তবে সেই লিড মাত্র মিনিট তিনেক ধরে রাখতে পারে তারা। গোলরক্ষক ভয়েচেক সেজনির একটি ক্রস ভুলভাবে সামলানোর ফলে সেল্টার বরজা ইগলেসিয়াস গোল করে সমতা আনেন।
আরো পড়ুন:
এমবাপ্পের লাল কার্ড, এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ
১০ জনের রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়, এমবাপ্পের প্রথম লাল কার্ড
স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইগলেসিয়াস বিরতির ৫২ ও ৬২ মিনিটের মধ্যে আরও দুটি গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। গোল দুটির ক্ষেত্রেই একই কায়দায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান তিনি। তখন মনে হচ্ছিল বার্সা নিশ্চিত্তভাবেই এই ম্যাচে পয়েন্ট হারাতে যাচ্ছে। তবে দুই রাত আগে ইউরোপা লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ১০ মিনিটের মধ্যে ৩ গোল করে ম্যাচ জয়টা মনে হয় টনিক দিয়েছিল বার্সাকে।
বার্সার বদলি খেলোয়াড় দানি ওলমো ও রাফিনহা মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে। ম্যাচের ৬৪ ও ৬৮ মিনিটের দুই গোলের সুবাদে ৩-৩ গোলের সমতায় আসে ম্যাচ।
সফরকারী সেল্টা তখনও লড়ে যাচ্ছিল, কিন্তু ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ওলমোর ওপর ফাউলের জন্য একটি পেনাল্টি দেওয়া হয়। ভিএআর চেকের পর নিশ্চিত হয় পেনাল্টি। রাফিনহা এরপর ৯৮তম মিনিটে বলটি জালে পাঠিয়ে জয় নিশ্চিত করেন।
৩২ ম্যাচ শেষে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এশিয়া কাপ-২০২৫ এর সুপার ফোরে জায়গা করে নিলো আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারতের সঙ্গী হলো সালমান-শাহীনরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আলো-ঝলমলে রাতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভার পর্যন্ত টিকেছিল আমিরাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সেই সুবাদে সহজ জয় নিয়ে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
আরো পড়ুন:
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
বেথেলের ইতিহাস গড়া দিনে ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়
এই জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে শাহীন শাহ আফ্রিদি। বিপদের মুহূর্তে নামতে হয় তাকে ব্যাট হাতে। সেখানে ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার ঝড়ে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা পাকিস্তানের সংগ্রহকে দাঁড় করায় লড়াইযোগ্য অবস্থানে। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকর। ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এমন সর্বাঙ্গীন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠে যায় তার ঝুলিতে।
তবু শুরুটা বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল আমিরাতের। ১৩.৫ ওভার পর্যন্ত তারা প্রতিযোগিতায় টিকে ছিল দারুণভাবে। তিন উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ৮৫ রান। কিন্তু এরপর যেন ধস নামে। মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে বাকি সাত উইকেট হারিয়ে পুরো দল অলআউট হয়ে যায় ১০৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন রাহুল চোপড়া, যার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কা। ধ্রুব পারাশার যোগ করেন ২০, মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৪ এবং আলিশান শারাফু করেন ১২ রান।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে শাহীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুটি করে উইকেট নেন হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তানও ভুগেছে। চারজন ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ফখর জামান খেলেন ৩৬ বলে ৫০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস, যেখানে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছক্কা। শাহীন আফ্রিদির অপরাজিত ২৯ রান ছাড়া অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২০ এবং মোহাম্মদ হারিস যোগ করেন ১৮ রান।
আমিরাতের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি উইকেট। সিমরানজিত সিংয়ের বোলিং ফিগারও কম চমকপ্রদ নয়, ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে শিকার করেন ৩ উইকেট।
এই জয়ে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথের আরেকটি অধ্যায় লেখার সুযোগ তৈরি হলো। শুধু তাই নয়, ভাগ্য যদি সহায় হয়, তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ফাইনাল লড়াইও দেখা যেতে পারে এবারের এশিয়া কাপে।
ঢাকা/আমিনুল