জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আরো বেশি বাংলাদেশি নারী নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, রবিবার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন-বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোয়া বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নীতিতে অটল। আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কিছু ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না।

শান্তিরক্ষার সব স্তরে নারীদের নিয়োগে জাতিসংঘ সহায়তা করবে বলেও জানান জঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোয়া।

বাংলাদেশ অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ সদস্য মোতায়েনে প্রস্তুত আছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জাতিসংঘের ‘পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম’-এর (পিসিআরএস) র‍্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট লেভেলে পাঁচটি ইউনিট প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

জাতিসংঘের সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ে শান্তিরক্ষায় নেতৃত্বে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জানান, এ ব্যাপারেও বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জানান, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী যাচাইকরণ প্রক্রিয়া বাংলাদেশ কঠোরভাবে অনুসরণ করে এবং মানবাধিকার নিশ্চিতে প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতা জোরদারে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ।

বৈঠকে জানানো হয়, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নিতে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে যাবে।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাত এবং সীমান্তে গুলিবর্ষণ, বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ও নাফ নদীর আশপাশে জীবন-জীবিকায় বিঘ্ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, চলমান অস্থিরতা আরো বাড়তে পারে, যা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে। 

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো কার্যকর উদ্যোগের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন রোহিঙ্গাদের মনে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের আশা সঞ্চার করেছে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ