রাজউক আপাতত আর কোনো প্লট বরাদ্দ দেবে না: চেয়ারম্যান রিয়াজুল
Published: 21st, April 2025 GMT
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আপাতত আর কোনো প্লট বরাদ্দ দেবে না বলে বলে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম।
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘সমস্যার নগরী ঢাকা: সমাধান কোন পথে’ শীর্ষক নগর সংলাপে অংশ নিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। সংলাপের আয়োজক নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশ।
সংলাপে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, অনেকে তাঁকে ফোন দিয়ে জানতে চান, প্লট বরাদ্দ হবে কি না? তিনি বলেছেন, ‘নো’ বরাদ্দ। আপাতত তাঁরা আর কোনো প্লট বরাদ্দ দেবেন না। যে জায়গাগুলো আছে, সেগুলোতে তাঁরা নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবেন।
নগরে বস্তি তৈরি হওয়ার জন্য মানুষই দায়ী বলে মন্তব্য করেন রাজউক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা কাজের লোকে অভ্যস্ত। উন্নত বিশ্বে কয়টা বাড়িতে কাজের লোক আছে? কাজের মানুষদের আমরাই ঢাকা শহরে এনেছি। বস্তিগুলো তৈরি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি। তাই আমরা নিজেরাই নিজেদের কাজগুলো কীভাবে করতে পারি, এ বিষয়েও পরিকল্পনা থাকা উচিত।’
ঢাকা শহরের সমস্যাগুলোর সমাধানে ঢাকাকে একটি ‘সিটি গভর্নমেন্ট’-এর অধীনে নেওয়ার পরামর্শ দেন রিয়াজুল ইসলাম।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। প্রবন্ধে তিনি বলেন, ঢাকা নগরের সমস্যাগুলো সমাধানে মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয় না। ঢাকার বেশির ভাগ সমস্যা সমাধানে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পনাগুলোও শেষ হয়ে যায়, সমাধান আসে না।
ঢাকার সমস্যাগুলো সমাধানে মহল্লাভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন মেহেদী আহসান। থাইল্যান্ডের একটি প্রকল্পের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, মহল্লাভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে আগামী পাঁচ বছরে ঢাকা শহরের ৫০ ভাগ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য পেশাজীবীদের গুরুত্ব তুলে ধরেন মেহেদী আহসান। তিনি বলেন, কারিগরি বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় সকল পর্যায়ে পেশাজীবীদের পদায়ন না করায় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে বহুতল ভবনসহ অপরিকল্পিত নগর সম্প্রসারণ হচ্ছে।
সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম র জন য সমস য র জউক
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল