রাজধানীর বনানী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে বাধা দেওয়ায় বিক্ষোভ ও পুলিশের একটি বক্সে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের গুলশান অঞ্চলের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এই তথ্য জানান।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় কয়েকজন পথচারীকে মারধর করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।

পুলিশ বলছে, তারা বনানী ১১ নম্বর সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে বাধা দেয়। এ সময় কয়েকটি ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশের একটি বক্সে ভাঙচুর চালান তাঁরা। কয়েকজন পথচারীও মারধরের শিকার হন।

ট্রাফিক পুলিশের গুলশান অঞ্চলের সহকারী কমিশনার আবু সায়েম প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের পরে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার ভিডিও ধারণ করার সময় এক গণমাধ্যমকর্মীকে মারধর করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এই গণমাধ্যমকর্মী প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা পুলিশের একটি বক্সে হামলা করেন। তিনি ভিডিও করতে যান। তখন চালকেরা তাঁর ওপর হামলা করেন। তাঁর গায়ের গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ