নাটোরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে (২৫) চলন্ত অটোরিকশায় তুলে পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতন করার ঘটনায় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে আহত ফয়সালের বাবা খায়রুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান।

আরো পড়ুন: রিকশায় ছাত্রলীগ নেতাকে পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতনের অভিযোগ

আরো পড়ুন:

অঝোরে কাঁদছেন পারভেজের মা

কুমিল্লার ৬ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ, ডিম নিক্ষেপ 

মামলায় নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জোবায়ের, নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রিমন ও সাধারণ সম্পাদক নাঈমসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি মাহবুর রহমান বলেন, “রবিবার (২০ এপ্রিল) ফয়সালকে মারধরের ঘটনায় তার বাবা আজ দুপুরে বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি নজরে আসলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” 

রবিবার দুপুরে নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় নাটোর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে চলন্ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পা-দানিতে ফেলে মারধর করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সালের পিঠের ওপর পা দিয়ে ছাত্রলীগ ছাত্রলীগ বলে মারধর করা হচ্ছে। এ সময় গান বাজছিল। মুহূর্তেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল অভ য গ ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ