সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও তাঁর স্ত্রী মালবিকা মুনশির সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের সম্পদও জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ৮টি দলিলে থাকা টিপু মুনশির সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁর ১০টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

টিপু মুনশির স্ত্রী মালবিকা মুনশির একটি দলিলে থাকা জমি জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁর একটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ক্ষমতার অপব্যবহার করে টিপু মুনশি জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৬১২ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর ১১টি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ১৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অপর দিকে তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।

এনামুর রহমানের সম্পদ ক্রোক করার আদেশ

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের ৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তাঁর পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।

এ ছাড়া কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এসব অর্থ তিনি জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের কাজে ব্যবহার করেছেন। এ প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭–এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, শিগগিরই এই মামলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা