বিএনপির ১৭ বছরের আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়েছে: রুমিন ফারহানা
Published: 22nd, April 2025 GMT
বিএনপির ১৭ বছরের আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত বিএনপির ৩১ দফা প্রশিক্ষণবিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
গত ৫ আগস্টের পর দেশে নতুন রাজনৈতিক দল দেখা যাচ্ছে জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, একটা নতুন রাজনৈতিক দল কিছুদিন হলো আত্মপ্রকাশ করেছে। তারা বলা শুরু করেছে, এই গণ–অভ্যুখান নাকি ৩৬ দিনে হয়েছে; শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এসব ঠিক কি না জানতে চেয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তাহলে আমাদের নেতা-কর্মীদের যে গুম-হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এই বয়সেও কারাগারে যেতে হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গত ১৭ বছর দেশে আসতে পারেন নাই—সেগুলোর কি মূল্য নাই? বিএনপির ১৭ বছরের আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়েছে।’
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক বলেন, সংস্কার দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তাই সংস্কারের আগে নির্বাচন করতে হবে।
রংপুর বিভাগের ৩ জেলায় (গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম) পৃথকভাবে আজ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূচিতে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি এই কর্মশালার আয়োজন করে। গাইবান্ধার কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।