সালিশে দাওয়াত না দেওয়ায় হামলার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
Published: 23rd, April 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ বৈঠকে দাওয়াত না দেওয়ায় হামলার অভিযোগ উঠেছে কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি জসীম পঞ্চায়েতের (৪৫) বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী সালিশদার মফিজ মাতব্বর (৪৩) বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করে।
এর আগে, একই দিন বিকেলে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কাপুরকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি নেতার হাত বিচ্ছিন্ন
কুষ্টিয়ায় মাজারে মাদক বিরোধী অভিযানে বাধা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালাইয়া ইউনিয়নের কপুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা জাকির হাওলাদার তার ভাতিজা মাহবুব হাওলাদার ও রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্তে গেলে দুই পক্ষ বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করবেন বলে জানান। পরে স্থানীয় মফিজ মাতব্বরকে সালিশদার মেনে উভয়পক্ষ একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে।
মঙ্গলবার বিকেলে সালিশ বৈঠক শুরু হওয়ার কিছু সময় পরেই জসীম পঞ্চায়েত তার কয়েকজন সহযোগীসহ সেখানে উপস্থিত হন। পরে সেই সালিশ পণ্ড করে মফিজ মাতব্বরকে গালাগালি ও মারধর করেন। এছাড়া, উপস্থিত অনেককে মারধরসহ হুমকি-ধমকি দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সালিশে দাওয়াত না পেয়ে জসীম ক্ষিপ্ত হন। এর আগে, তিনি নিজে সালিশ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাকে না ডেকে মফিজ মাতব্বরকে সালিশদার করা হয়। এই কারণেই তিনি হামলা চালিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জসীম পঞ্চায়েতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।