মাত্র ৩৬ বছর বয়সে চলে গেলেন ‘তারাক মেহতা কা উল্টা চশমা’ খ্যাত অভিনেতা ললিত মনচন্দা। সোমবার (২১ এপ্রিল) ভারতের উত্তর প্রদেশের মেরুটের নিজ বাসা থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে।
বলিউড হাঙ্গামার খবরে বলা হয়েছে, গত রবিবার রাতে লালিত আলাদা একটি কক্ষে ঘুমাতে যান। পরদিন সকালে, যখন পরিবারের একজন ডাকতে গিয়ে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ এসে ঘটনাস্থল তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়। তার শেষকৃত্য সোমবার সন্ধ্যায় সম্পন্ন হয়।
পুলিশ ধারণা করছে, আত্মহত্যা করেছেন ললিত। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট পায়নি পুলিশ। আবার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ সন্দেহজনক কোনো কিছু পায়নি।
গত ১২ বছর ধরে টিভি শোয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু বলিউড সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন ললিত। ইদানীং ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন। তবে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে সময় পার করছিলেন ললিত। আর্থিক সংকটের কারণে তিনি প্রায় ছয় মাস আগে মীরত ফিরে যান এবং তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে প্রহলাদ নগরের লিসাদি গেট এলাকায় থাকতে শুরু করেন।
লালিতের সঙ্গে ছিল তাঁর স্ত্রী তারু মঞ্চন্দা এবং তাদের দুটি সন্তান ১৮ বছর বয়সী ছেলে উজ্জ্বল ও মেয়ে শ্রেয়া।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন
তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের।
দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত।
আরো পড়ুন:
রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন
টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়
প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।
তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।
গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে।
সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে।
২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি