‘কুয়েট উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চলবে’
Published: 23rd, April 2025 GMT
যতক্ষণ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য পদত্যাগ না করবে, ততক্ষণ অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কুয়েট উপাচার্যর পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত অবস্থায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “কুয়েটে সন্ত্রাসী আক্রমনের ন্যায্য বিচার হয়নি। কুয়েট উপাচার্য হল বন্ধ করে দেয়। আমাদের ভাইদেরকে হল বন্ধ করে বের করে দেওয়া হয়, মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে দুইদিন তারা আমরন অনশন করছে। ৪৮ ঘণ্টা না খেয়ে ব্যাপক অসুস্থ অনেকে।”
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ‘টিকা’
কুয়েট উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে রাত ১০টায় ‘শাহবাগ ব্লকেড’
তিনি আরো বলেন, “আমরা কুয়েটের ভাইদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমরণ অনশনে বসেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের ভাইয়েরা অনশন না ভাঙবে এবং কুয়েট ডিসি পদত্যাগ না করবে, ততক্ষণ আমরাও অনশন চালিয়ে যাব।”
তরিকুল বলেন, “আমাদের আরেক সহযোদ্ধা মোফাজ্জেল হোসেন সাদাত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় সংগঠক মুদ্দাসসির ভাইও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতেই হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট উপ চ র য পদত য গ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।