বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড পুমা, নাইকি, অ্যাডিডাস ও লিভাইসের পর দেশের বাজারে এবার জার্মান জুতার ব্র্যান্ড বুগাতির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে এসেছে ডিবিএল গ্রুপের রিটেইল শাখা ডিবিএল লাইফস্টাইল। বুগাতি স্টোরে নারী-পুরুষের জন্য ক্যাজুয়াল ও ফরমাল জুতা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম মিলবে।

রাজধানীর বনানীর ১১ নম্বর সড়কের অ্যালিসনস টাওয়ারে গত মঙ্গলবার বুগাতি স্টোরের উদ্বোধন করেন ডিবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ জব্বার, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ কাদের প্রমুখ।

ডিবিএল লাইফস্টাইলের কর্মকর্তারা জানান, ইউরোপের প্রিমিয়াম জুতার ব্র্যান্ড বুগাতি গুণগত মান, উদ্ভাবনী নকশা ও নিখুঁত কারুশিল্পের জন্য জনপ্রিয় হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, বুগাতির চামড়ার জুতার বড় বৈশিষ্ট্য সেগুলো হাতে তৈরি বা হ্যান্ডমেইড।

দেশের বুগাতি স্টোরে নারীদের জন্য টিটি বাগেত ব্র্যান্ডের জুতাও পাওয়া যাবে। ইতালির মিলানে জন্ম হওয়া এই ব্র্যান্ডের রয়েছে নি-হাই বুট, ডিজাইনার হিল, ট্রেন্ডি স্নিকার্স এবং বিলাসবহুল স্লিপ-অনসের কালেকশন।

ডিবিএল লাইফস্টাইলের হেড অব বিজনেস রিজওয়ান হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, বুগাতি ব্র্যান্ডের জুতা ৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। বেল্ট, মানিব্যাগ, মোজাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম ৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে জার্মানির ফ্রেডরিখ উইলহেম ব্রিঙ্কম্যান ও তাঁর স্ত্রী মার্গোট বুগাতি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে নারী ও পুরুষ পোশাক দিয়ে শুরু করেন তাঁরা। ১৯৭৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বুগাতি। ১৯৯১ সালে তারা প্রথম জুতার সংগ্রহ নিয়ে আসে।

বুগাতির ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ব্র্যান্ডটির প্রতিষ্ঠাতা জার্মান হলেও কোম্পানির সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ড। উচ্চ মানসম্পন্ন জুতা ইতালিতে তৈরি হয়। অন্যান্য মানের জুতা ভারত ও চীনে তৈরি হলেও চামড়া ও সোল ইউরোপে উৎপাদন হয়।

ডিবিএল গ্রুপের হাত ধরে ২০১৯ সালের এপ্রিলে বনানীর ১১ নম্বর সড়কে পুমার প্রথম বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন হয়। পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক স্পোর্টসওয়্যার ব্র্যান্ড নাইকি ও অ্যাডিডাস এবং মার্কিন ব্র্যান্ড লিভাইসের বিক্রয়কেন্দ্রের চালু করে গ্রুপটি। বর্তমানে বাংলাদেশে পুমার চারটি, নাইকির দুটি, অ্যাডিডাসের একটি এবং লিভাইসের দুটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।

ডিবিএল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশে থাকলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হয়। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। এ কারণে মূলত আমরা বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে এ দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। তা ছাড়া অনেকেরই সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো দেশে গিয়ে এসব পণ্য কেনার সুযোগ নেই। তাঁরা দেশেই এই বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য কিনতে পারছেন।’ অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নতুন আরও এক-দুটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে আমাদের আলাপ–আলোচনা চলছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড ব এল গ র প র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ