ভূমিকম্পের পর ৫১ বার পরাঘাতে কেঁপে উঠল ইস্তাম্বুল
Published: 24th, April 2025 GMT
রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ২ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ৫১ বার পরাঘাতে কেঁপে উঠেছে তুরস্কের ইস্তাম্বুল অঞ্চল। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, গতকাল বুধবার তুরস্কের বৃহত্তম শহরটির দক্ষিণে মর্মর সাগরে ছিল এ ভূমিকম্পের উৎসস্থল।
এক এক্স পোস্টে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, গতকাল ইস্তাম্বুলের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে ৬ দশমিক ২ তীব্রতার ভূকম্পন অনুভূত হয়। ১৩ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল কম্পনটি। এর উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার গভীরে।
ওই পোস্টে আরও জানানো হয়, শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পরপর স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ১২ মিনিটের মধ্যে ৫১ বার পরাঘাত অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৯ তীব্রতার ছিল।
ইস্তাম্বুলের মেয়র দাভুত গুলের আল-জাজিরার প্রতিবেদনের তথ্য, ভূমিকম্পে শহরটিতে কেউ মারা যাননি, তবে অন্তত ১৫১ জন আহত হয়েছেন। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে উঁচু ভবন থেকে লাফ দেওয়ায় আহত হয়েছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ওই ভূমিকম্পে তুরস্কে ৫৩ হাজারের বেশি এবং সিরিয়ায় আরও ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ম কম প র ত রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
সুদানের এল-ফাশের শহর ও এর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চলছে। কৃত্রিম ভূ–উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন দাবি করেছেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সসের (আরএসএফ) লড়াই চলছে। গত রোববার তারা এল-ফাশের দখল করে। এর মাধ্যমে প্রায় দেড় বছরের দীর্ঘ অবরোধের পর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটিটিও ছিনিয়ে নেয় তারা।
শহরটি পতনের পর থেকে সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, যৌন সহিংসতা, ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
এল-ফাশের থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাওইলা শহরে জীবিত বেঁচে ফেরা কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে এএফপির সাংবাদিক কথা বলেছেন। সেখানে গণহত্যা হয়েছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, শহরটিতে মা-বাবার সামনেই শিশুদের গুলি করা হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে মারধর করে তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী লুট করা হয়েছে।
পাঁচ সন্তানের মা হায়াত শহর থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে থাকা তরুণদের আসার পথেই আধা সামরিক বাহিনী থামিয়ে দেয়। আমরা জানি না, তাদের কী হয়েছে।’
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব বলেছে, গত শুক্রবার পাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে ‘বড় ধরনের কোনো জমায়েত চোখে পড়েনি।’ এ কারণে মনে করা হচ্ছে, সেখানকার জনগণের বড় একটি অংশ হয় ‘মারা গেছে, বন্দী হয়েছে কিংবা লুকিয়ে আছে।’ সেখানে গণহত্যা অব্যাহত থাকার বিভিন্ন ইঙ্গিত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আল-ফাশের থেকে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে। এখনো কয়েক হাজার মানুষ শহরটিতে আটকা পড়েছে। আরএসএফের সর্বশেষ হামলার আগে সেখানে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করত।
শনিবার বাহরাইনে এক সম্মেলনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভাডেফুল বলেন, সুদান একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আরএসএফ নাগরিকদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।