নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, গাছে ঝুলছিল বাসটির ছাদ
Published: 24th, April 2025 GMT
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাস। এ সময় খুলে গিয়ে গাছের ডালে ঝুলছিল বাসটির ছাদ। দুর্ঘটনায় ৪ জন আহত হলেও প্রাণ হারায়নি কেউ।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে ‘এফকে ডিলাক্স’ নামের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া হয়ে শৈলকুপা যাচ্ছিল। পথে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শৈলকুপা উপজেলার বড়দাহ এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে বাসটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা বাসটির ছাদ গাছের ডালে ঝুলে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
উদ্ধারের পর বাসটির ছাদ
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ৪ জন আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাস এবং ছাদ সরিয়ে সড়ক পরিষ্কার করা হয়েছে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।