প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ৪দিনের কাতার সফরের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল সানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দোহায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দোহায় ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথোপকথনে:একটি রূপান্তরিত বিশ্বে যুব নেতৃত্বকে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক একটি ফায়ারসাইড চ্যাটে যোগ দেন। স্থানীয় সময় বুধবার এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিডল ইস্ট কাউন্সিল অন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স এবং জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্র হানা এলশেহাবি। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, দোহার সামিট ভিলেজে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

টেস্টে ম্যাচ প্রতি ৮ লাখ টাকা, তবুও শান্তদের ফর্মে খরা!

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে এনামুল

সফরে বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস সে দেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বুধবার দোহায় কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ সাউদ বিন আবদুল রহমান বিন হাসান আল-থানির সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “কাতারের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা যেতে পারে। সেখানে কাতারের ব্যবসায়ীরা সমরাস্ত্রের যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।”

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, “বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা কাতারের মন্ত্রীকে বলেন, “বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং ও অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোসহ বিনিয়োগ পরিষেবা উন্নয়ন করা হচ্ছে।”

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করে উৎপাদিত পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি করতে পারবেন।”

তিনি কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

কাতার তিন বছর পর পর বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন করে সেনা সদস্য নেবে। প্রধান উপদেষ্টা কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রীকে এই সেনা সদস্যের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানান। একইদিন কাতারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন আল থানি অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

কোটি টাকা ছিনতাই করতে সড়কে অপেক্ষায় ছিল দুর্বৃত্তরা: পুলিশ  

রাজধানীর উত্তরায় এক কোটি ১৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে জানিয়েছে পুলিশ। আগে থেকে ব্যাগভর্তি টাকা ছিনতাই করতে সড়কে অপেক্ষায় ছিল দুর্বৃত্তরা। 

পুলিশ জানিয়েছে, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ছাড়াও প্রযুক্তিগত তদন্ত করছে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১২ ও ১৩ নম্বর সড়কের মোড়ে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, দুটি মোটরসাইকেলে থাকা চার আরোহীকে গতিরোধ করে একটি মাইক্রোবাস। র‌্যাবের পোশাক পরিহিত তিনজন মাইক্রোবাস থেকে নেমে আসে। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীদের দু’জন ভয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা ভর্তি দুটি ব্যাগ নিয়ে দৌড় দেন। তাদের পিছু নেয় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। মোটরসাইকেলের এক আরোহীকে ধরে এনে মাইক্রোবাসে তুলে ১ কোটি ১৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগীদের একজন বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উত্তরায় ছিনিয়ে নেওয়া টাকা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদের এক এজেন্টের।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, দুটি মোটরসাইকেলে যখন নগদের এজেন্টের লোকজন টাকা নিয়ে ১২ ও ১৩ নম্বর সড়কের সংযোগস্থল অতিক্রম করছিল তখন তাদের ব্যারিকেড দেওয়া হয়। মাইক্রোবাস থেকে নেমে র‌্যাবের পোশাক পরিহিত তিনজন মোটরসাইকেল আরোহীদের গতিরোধ করে। ঘটনাস্থলে আগে থেকে মাইক্রোবাস নিয়ে দুর্বৃত্তরা অপেক্ষা করছিল। এটি পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ক্লু ধরেই তদন্ত চলছে। প্রতিষ্ঠানের ভেতরের কোনো প্লট রয়েছে কি–না সেটিও দেখা হচ্ছে।  

তদন্ত সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা বলছেন, ছিনতাইকাণ্ডে যে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে সেটির নম্বর প্লেট ভুয়া ছিল। পেশাদার অপরাধী চক্র, আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স নাকি অন্য কোনো গ্রুপ এর সঙ্গে জড়িত তা বের করার চেষ্টা চলছে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ছুটির দিন সকালে ঘটনাস্থলে দুর্বৃত্তরা আগেভাগে হাজির হয়। এরপর কোটি টাকা ছিনতাই করে ১৭ নম্বর সেক্টর হয়ে তুরাগের দিকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।   

নগদের ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল খালেক নয়ন বলেন, ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকায় টাকা জমা দেওয়া যায়নি। ছুটির মধ্যে ব্যবসার টাকা আমার বাসায় রাখা ছিল। শনিবার উত্তরার ইসলামী ব্যাংক শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা ছিল। তাই ব্যাংকে এবং বুথে জমা দেওয়ার জন্য চার কর্মচারীকে দিয়ে ওই টাকা অফিসে পাঠানো হচ্ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ